পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রতারণার মামলায় এবার তদন্তকারীদের নজরে নীরব মোদীর স্ত্রী। শুক্রবার অ্যামি মোদীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত। আগামী ১২ এপ্রিলের মধ্যে অ্যামিকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এজন্য অ্যামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন বিশেষ বিচারক এমএস আজমি।
উল্লেখ্য, গত মাসেই পিএনবি কেলেঙ্কারি মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে অ্যামির নাম উল্লেখ করেছিল ইডি। এরপরই নীরবের স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। পাশাপাশি অ্যামির বিরুদ্ধে সমন জারিরও আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির তরফে জানানো হয়, তদন্তের স্বার্থে অ্যামিকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। পিএনবি কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির চার্জশিটে অ্যামি ছাড়াও নীরবের তিন কোম্পানির নাম রয়েছে। নীরব মোদী লিমিটেড, ইয়ানিকে প্রপার্টিজ লিমিটেড ও ডায়মন্ডস হোল্ডিংস এসএ, নীরবের এই তিন কোম্পানির নাম উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে।
আরও পড়ুন, লন্ডনে হঠাৎ দেখা নীরব মোদীর, বহাল তবিয়তেই হীরে ব্যবসায়ী
ইডির অভিযোগপত্রে জানানো হয়, বেআইনি ভাবে লেটার অফ আন্ডারটেকিং ইস্যু করেছেন মোদীর বোন পূর্বী। ৮৯ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ২৬ মিলিয়ন ডলার লেনদেন করেছেন পূর্বী। যে টাকা অ্যামিকে দিয়েছেন তিনি। মার্কিন মুলুকে ২টি সম্পত্তি কেনার জন্য অ্যামিকে এই টাকা দেন পূর্বী।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই লন্ডনের রাস্তায় প্রকাশ্যে দেখা যায় নীরব মোদীকে। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩,৬০০ কোটি টাকার প্রতারণায় মূল অভিযুক্ত নীরব মোদী লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ড এলাকায় একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, সেখানে হীরে ব্যবসাও চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছে একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। নীরবের ভিডিও প্রকাশ্যে আনে ওই সংবাদমাধ্যম। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় এ দেশে।
আরও পড়ুন, প্রসঙ্গ নীরব মোদী ও একটি ভিডিও
প্রসঙ্গত, গত বছরের জানুয়ারি মাসে পিএনবি কেলঙ্কারি সামনে আসার কয়েক সপ্তাহ আগেই দেশ থেকে পালিয়ে যান নীরব মোদী ও তাঁর মামা মেহুল চোকসি। মামা-ভাগ্নেকে হাতের নাগালে পেতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তবে বহুবার চেষ্টা সত্ত্বেও এখনও নীরব-মেহুলকে হাতে পায়নি ভারত। নীরব লন্ডনে রয়েছেন। অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যান্টিগা ও বার্বুদায় রয়েছেন চোকসি।
Read the full story in English