/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/01/nirbhaya-1-1.jpg)
নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দোষী মুকেশ(৩২), পবন গুপ্তা(২৫), বিনয় শর্মা(২৬) ও অক্ষয় সিং(৩১)।
আগামিকাল, ১ ফেব্রুয়ারি, নির্ভয়ার ধর্ষকদের মৃত্যদণ্ড কার্যকর হচ্ছে না। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফাঁসির আদেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল দিল্লির আদালত।
আজ নতুন করে ফাঁসির কোনও দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি আদালত। শনিবার সকাল ছ'টায় ২০১২ সালের ডিসেম্বরে নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে দোষী পবন গুপ্তা (২৫), বিনয় শর্মা (২৬), অক্ষয় কুমার সিং (৩১) ও মুকেশ সিং (৩২)-এর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
আদালতের নির্দেশ দিল্লির তিহার জেলে নির্ভয়াকাণ্ডের চার দোষীর ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল। চলছিল প্রস্তুতি। তার আগে শুক্রবার শেষ মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামী পবন গুপ্তা। নিজের বয়স সংক্রান্ত রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় পবন। যদিও আগেই পবনের এই আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে যাচ্ছে ফাঁসি, অপেক্ষায় অধীর জনতা
এদিকে, ২০১২ সালে দিল্লি গণধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অক্ষয় ঠাকুরের কিউরেটিভ পিটিশনের আর্জিও খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।এর আগে, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায় মুকেশ। যদিও সে আর্জি খারিজ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সেই প্রেক্ষিতে আর্জি খারিজের প্রশ্ন তুলে রিভিউ পিটিশন দায়ের করে মুকেশ। নাকচ হয়ে যায় সেটিও। প্রসঙ্গত, গত ২২ জানুয়ারি নির্ভয়াকাণ্ডে ৪ দোষীর ফাঁসির দিন ঠিক করা হলেও নতুন করে নির্দেশিকা জারি করে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি কার্যকর করা হয়েছিল এই মৃত্যুদণ্ড।
অবশ্য আদালতের রায়ের পরও হাল ছাড়তে নারাজ নির্ভয়ার মা আশা দেবী। শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে আশা দেবী বলেন, "দোষীদের উকিল এ পি সিং আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন এই বলে যে ওদের কোনোদিন ফাঁসি হবে না। আমি লড়াই চালিয়ে যাব। সরকারের ওদেরকে ফাঁসি দিতেই হবে।"
Asha Devi, mother of the 2012 Delhi gang-rape victim: The lawyer of the convicts, AP Singh has challenged me saying that the convicts will never be executed. I will continue my fight. The government will have to execute the convicts. pic.twitter.com/NqihzqisQo
— ANI (@ANI) January 31, 2020
২০১৭ সালে নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তার পর থেকেই আইনের সমস্ত সংস্থানের সহায়তায় ফাঁসি রদের চেষ্টা চালাতে থাকে সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা।
মামলার সূচনা ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, যখন ২৩ বছরের এক যুবতীকে গণধর্ষণ এবং মারাত্মক ভাবে জখম করে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয় দক্ষিণ দিল্লির এক এলাকায়। সে বছরের ২৯ ডিসেম্বর যুবতীর মৃত্যু হয় সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালে।
Read the full story inEnglish