অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য বিমানবন্দর থেকে হাসপাতালে দ্রুত অঙ্গ পৌঁছে দিতে নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রের। এর জন্য এখন থেকে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। শনিবার একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি । তিনি বলেন, “অঙ্গের সহজ পরিবহণ এবং দ্রুততার সঙ্গে সেটি বিমানবন্দর থেকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি আনতে চলেছে সরকার। এরকম একটি প্রযুক্তি হল ড্রোন ব্যবহার।"
বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে অঙ্গ হাসপাতাল পরিবহনের বর্তমান পদ্ধতির তুলনায়, ড্রোন পরিবহনে অনেক কম সময় লাগবে। নীতিন গড়করি শনিবার হাসপাতাল দ্রুত অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সুবিধার্থে অঙ্গের পরিবহনে ভারতের প্রথম প্রোটোটাইপ ড্রোন উন্মোচন করে বলেন "এটি ভারতের পরিবহন ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এক বিল্পব আনবে"।
প্রোটোটাইপ ড্রোন প্রযুক্তি চালু হয়েছে
এমজিএম হেলথকেয়ারের প্রধান ডাঃ প্রশান্ত রাজাগোপালন, যিনি প্রোটোটাইপ ড্রোন প্রযুক্তিটি তৈরি করেছেন, সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে তার হাসপাতাল অঙ্গ দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার জন্য আপাতত একটি চ্যুক্তি করেছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, " অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে দেশের শেষ প্রান্তে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিপ্লব আনাই এর লক্ষ্য" । ড্রোন নির্ভর প্রযুক্তি উন্মোচন করার পরে, গডকরি বলেন, "প্রতিস্থাপনের জন্য অঙ্গগুলির ঠিক মত ব্যবহার এবং কম সময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ। শীঘ্রই অঙ্গ পরিবহনের জন্য নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হবে এবং তা হল ড্রোন ব্যবহার।"
গডকরি এই প্রযুক্তির প্রশংসা করেন
নয়াদিল্লি থেকে প্রোটোটাইপটি উন্মোচন করার পরে, তিনি বলেছিলেন, "পরিবহনের সমস্যা সমাধানের জন্য এটি একটি খুব উদ্ভাবনী পদ্ধতি এবং গবেষণা ও উন্নয়নের অংশ হওয়ার জন্য আমি এমজিএম হেলথকেয়ারকে অভিনন্দন।" একই সঙ্গে তিনি বলেন," আরও ভাল স্থল ও বিমান সংযোগের মাধ্যমে অঙ্গ পরিবহনের জন্য সমস্যাটি সমাধান করা যেতে পারে এবং তার দফতর ইতিমধ্যে পরিকাঠামো উন্নত করার জন্য ব্যবস্থা শুরু করেছে। ভারতমালা প্রকল্পের মতো সড়ক অবকাঠামো প্রকল্প, মহাসড়ক সেক্টরের জন্য একটি নতুন কর্মসূচি, ভারত জুড়ে অঙ্গ পরিবহনের ক্ষেত্রে একটি প্রধান সুবিধা হবে"।
আরও পড়ুন: < কংগ্রেসের ‘হল্লা বোল’! দিল্লির রামলীলা ময়দানে সাজো সাজো রব, মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ >
আর কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "আমরা দিল্লি থেকে দেরাদুন পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প শুরু করতে চলেছি, যা যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমিয়ে দেবে। দ্রুততার সঙ্গে অঙ্গ পরিবহন ভারতের ক্ষেত্রে ইতিহাস তৈরি করবে”।
গডকরি ডক্টর কে আর বালাকৃষ্ণান এবং তার দলকে ধন্যবাদ জানান যারা ভারতে ৫০০ টিরও বেশি হার্ট এবং ফুসফুস ট্রান্সপ্লান্ট সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন এবং ভারতে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুর হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রাম চালাচ্ছেন।
গডকরি আরও বলেন, " যে এই মাইলফলক প্রযুক্তি অর্জন ভারতকে বিশ্ব মানচিত্রে এক আলাদা জায়গা করে দেবে। আসে। "এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুধু গর্বের নয় সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিল্পব আনতে চলেছে”।