পাঞ্জাব সরকার রাজ্যে শিল্প ও বাণিজ্যের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করছে। এ জন্য সরকার জার্মানি সংস্থাগুলিকে রাজ্যে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে। এই সবের মাঝেই ‘অগ্নিপথ প্রকল্প’ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে সমর্থন না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শ’য়ে শ’য়ে যুবক কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে পারে। স্থানীয় প্রশাসনের মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতে, সেনাবাহিনী পাঞ্জাব সরকারকে একটি চিঠি লিখে সমস্যার কথা জানিয়েছে। সেনাবাহিনী বলছে, যদি স্থানীয় প্রশাসন সাহায্য না করে তাহলে হয় নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে হবে অথবা প্রতিবেশী রাজ্যে স্থানান্তরিত করতে হবে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জলন্ধরে অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার পরিকল্পনা করেছে। সেনাবাহিনী বলছে, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতার অভাবে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এমন পরিস্থিতিতে হয় নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে হবে নয়তো প্রতিবেশী রাজ্যে স্থানান্তরিত করতে হবে। সেনাবাহিনীর জোনাল রিক্রুটমেন্ট অফিসার (জলন্ধর) মেজর জেনারেল শাদার বিক্রম সিং এই বিষয়ে পাঞ্জাবের মুখ্য সচিব ভি কে জানজুয়া এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি কুমার রাহুলকে একটি চিঠিও দিয়েছেন।
কী লেখা আছে চিঠিতে?
মেজর জেনারেল শারদ বিকম সিং পাঞ্জাব সরকারকে বলেছেন যে জলন্ধরের স্থানীয় প্রশাসন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছে না। তারা বলছেন, এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কোনো স্পষ্ট নির্দেশ নেই। 'ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে সেনাবাহিনীর লেখা একটি চিঠির উল্লেখ করা হয়েছে। এতে সেনাবাহিনী বলছে যে স্থানীয় প্রশাসনকে অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ সমাবেশের আয়োজন করতে কিছু প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। যেমন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী, ভিড় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: < আগামী বছর দিল্লিতেই G-20 সম্মেলন, চূড়ান্ত ঘোষণা বিদেশমন্ত্রকের >
খাবার থেকে ওষুধ এই ব্যবস্থা নিক রাজ্য সরকার
পাঞ্জাব সরকারকে সেনাবাহিনীর তরফে লেখা চিঠিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। সেনাবাহিনী বলছে, নিয়োগ সমাবেশের সময় যেকোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় চিকিৎসা ব্যবস্থা জরুরি। নিয়োগস্থানে মেডিকেল টিমসহ অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও জরুরি। পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যারা অংশ নিচ্ছেন তাদের জন্য টিফিন ও খাবারের ব্যবস্থাও রাজ্য সরকারের করা উচিত।