Advertisment

বলতে হবে না 'স্যর' বা 'ম্যাডাম', দেশের মধ্যে ইতিহাস গড়ল এই গ্রাম পঞ্চায়েত

ব্রিটিশ আদব-কায়দা ঝেড়ে ফেলে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

পঞ্চায়েত অফিসে আর বলা যাবে না স্যর বা ম্যাডাম। ঊর্ধ্বতন আধিকারিককে হয় নামে বা পদ অনুযায়ী ডাকতে হবে। কেরলের গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আধিকারিকরা এইভাবেই জনসাধারণকে আর্জি জানালেন। উত্তর কেরলের মথুর গ্রামে এমনই ইতিহাস রচিত হল। যেখানে পঞ্চায়েত আধিকারিকরা পরিষেবা নিতে আসা বাসিন্দাদের জানিয়ে দিলেন, তাঁদের স্যর বা ম্যাডাম বলে সম্বোধন না করতে।

Advertisment

কেন এমন সিদ্ধান্ত, আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের দূরত্ব কমাতে এই পদক্ষেপ। মানুষের সঙ্গে সেতুবন্ধনের জন্য পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে আধিকারিকদের নাম বা পদ অনুযায়ী ডাকলেই চলবে। যাতে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি আধিকারিকদের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ে, তাই এমন ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করা হয়েছে।

এর সঙ্গেই দেশের মধ্যে প্রথম গ্রাম পঞ্চায়েত হিসাবে স্যর-ম্যাডাম সম্বোধন বর্জন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। অন্য পুর-পঞ্চায়েত অফিসের জন্যও শিক্ষনীয় বিষয় হয়ে থাকল এই পদক্ষেপ। সম্প্রতি একটি বৈঠক করে পঞ্চায়েত বোর্ড এই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে নেয়।

আরও পড়ুন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম জমা নিচ্ছেন স্বয়ং ‘মা লক্ষ্মী’, আজব কাণ্ড সল্টলেকে

১৬ সদস্যের কংগ্রেস পরিচালিত এই বোর্ডে সাতজন সিপিএম এবং একজন বিজেপি সদস্যও সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন। রাজনৈতিক শত্রুতা ভুলে সবার সম্মতি, এটাও একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। পঞ্চায়েত সদস্যরা বলেছেন, ঔপনিবেশিক অতীতের ভয়াবহ স্মৃতি ভুলে নতুন ভাবে এগিয়ে যাবে এই গ্রাম পঞ্চায়েত।

গ্রাম পঞ্চায়ের সহ-সভাপতি পি আর প্রসাদ বলেছেন, "গণতন্ত্রে মানুষই প্রভু। আর জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিকরা তাঁদের সেবা করার জন্য। তাই তাঁদের কোও কাজের জন্য আমাদের প্রভু সম্বোধন করার দরকার নেই। এটা তাঁদের দাবি, যেটা আমাদের পূরণ করতে হবে।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন  টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Advertisment