দিল্লিতে তুলে নেওয়া হচ্ছে সপ্তাহান্তের কারফিউ। তবে বাজার এবং শপিং মলগুলিতে আগের নিষেধাজ্ঞাই বহাল থাকছে। সিনেমা হল এবং রেস্তোরাঁগুলি এবার ৫০ শতাংশ আসন-ক্ষমতা নিয়ে খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ২০০ জন অতিথি হাজির থাকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকেই একাধিক রাজ্যের পাশাপাশি দিল্লিতেও একগুচ্ছ বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। তবে গত কয়েকদিনে সংক্রমণ খানিকটা কমায় এবার বেশ কিছিু বিধি-নিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। দিল্লির সরকারি অফিসগুলিতে এবার থেকে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চলবে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি আপাতত বন্ধই থাকবে। চলবে রাতের কারফিউও।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক হয়। দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সেই বৈঠকেই একাধিক নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিল্লি বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহ থেকেই উঠে যাচ্চে সপ্তাহান্তের কারফিউ। এরই পাশাপাশি জোড়-বিজোড় নিয়ম-সহ আরও বেশ কিছু বিধি-নিষেধ আগামিকাল থেকেই শিথিল করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- সামান্য বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ, পজিটিভিটি রেট বেড়ে ১৯.৫৯ শতাংশ
DDMA-র পদস্থ কর্তাদের পাশাপাশি এদিনের গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল। দিল্লিতে বুধবার নতুন করে ৭ হাজার ৪৯৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিল্লিতে ৬ হাজার ২৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে এই মুহূর্তে রাজধানীতে সংক্রমণের হার ১০.৫ শতাংশ।
এদিকে, দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ এখনও উদ্বেগজনক জায়গায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়ছেন ২ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৮৪ জন। দেশে একদিনে করোনার বলি ৫৭৩। বর্তমানে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২২ লক্ষ ২ হাজার ৪৭২।
Read story in English