আসাম ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যে এনআরসি প্রক্রিয়া লাগু হবে না। মঙ্গলবার লোকসভায় এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ আহির একটি লিখিত জবাবে সংসদে জানিয়েছেন, “১৯৫১ সালের এনআরসি ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন এবং ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব বিধির আওতায় আসামে পরিমার্জিত হচ্ছে। বর্তমানে আসাম ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যে এনআরসি লাগু করার প্রস্তাব নেই।“
৬০০ কোটি টাকার কৃষিঋণ মকুব করল আসাম
এর আগে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল, ত্রিপুরায় এনআরসি পরিমার্জনের কোনও প্রস্তাব নেই। সে রাজ্যে এন আর সি লাগু করার জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিল আদালত।
আসামে এনআরসি-র পূর্ণ খসড়া প্রকাশিত হয়েছে এ বছরের ৩০ জুলাই। এই খসড়া থেকে নাম বাদ গিয়েছে ৪০ লক্ষ আবেদনকারীর। এই খসড়ার উদ্দেশ্য হল দেশের বৈধ নাগরিকদের এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা। এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের অধিকাংশই প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের বলে মনে করা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, মোবাইলের সঙ্গে কি আধার সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক হতে চলেছে আবার?
বিজেপি-র তরফ থেকে বহুবার পশ্চিমবঙ্গের মত বিভিন্ন রাজ্যে এনআরসি লাগু করার কথা বলা হয়েছে। তাদের দাবি বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের দেশছাড়া করতে হবে। দলের সভাপতি অমিত শাহ এনআরসি-র সপক্ষে অনেকবার মুখ খুলেছেন। একটি সভায় তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের এক এক করে চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের বহিষ্কার করতে হবে।
এ বছরের অগাস্টে বিজেপি জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা ভারতের, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী মুসলমানদের এনআরসি সমর্থনের ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল এ রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের জমানায় অনুপ্রবেশকারীদের আখড়া হয়ে উঠেছে। দলের রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, তাঁরা এ রাজ্যে ক্ষমতায় এলে আসামের মতই এনআরসি তালিকা প্রকাশ করবেন।