লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যত বেড়েছে, এই জল্পনাও ততই মাথাচারা দিয়েছে। নিয়ম অমান্য করে পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যেও বেড়েছে বাড়ি ফেরার তাগিদ। মাইলের পর মাইল হেঁটেই ঘরমুখী তাঁরা। লকডাউনের মেয়ার বাড়লে মিলবে তো প্রয়োজনীয় সামগ্রী? সবার মুখে মুখে এই প্রশ্ন ঘুরতে থাকে। আগেভাগেই বাজার থেকে তা কেনার জমায়েতও গত দু'দিন ধরে নজরে এসেছে। তবে, লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা।
প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো টুইটে জানতে চায়, মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ ও রটনা চলছে যে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হবে। কতদিন লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি হবে? ক্যাবিনেট সচিব লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির রিপোর্ট ভিত্তিহীন বলে জানান। গৌবার কথায়, 'আপাতত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই।'
গত দু'দিন ধরে লকডাউন আগ্রাহ্য করে মাইলের পথ মাইল হেঁটে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে দেখে গিয়েছে। এমনকী এক শ্রমিকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে, অসিস্থ অনেকে। লকডাউন চলায় বন্ধ কাজ। মিলছে মজুরি। আবার কবে কাজ পাওয়া যাবে তাও অজানা। পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবি, হাতে টাকা না থাকায় খাওয়া জুটছে না। আশঙ্কা এই বন্ধদশা আরও বাড়তে পারে। ফলে দল বেঁধে কয়েকশো ফত পেরিয়ে বাড়ির মুখো তারা। আর এতেই করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: চাকরির বাজারে কোভিড কামড়! কোথাও কর্মী ছাটাই, কোথাও কমল বেতন
এই পরিস্থিতিতে রবিবার নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র জাননিয়ে দেয়, নিয়ম ভেঙে যারা পথে চলাফেরা করছে তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন সরকারি কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। রাজ্যগুলিকেও এই মর্মেই নির্দেশ পাঠানো মোদী সরকারের তরফে। মারণ ভাইরাসের প্রকোপ রুখতে এক্ষেত্রে কেন্দ্রের নিশানায় পরিযায়ী শ্রমিকরাই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাস মোকাবিলার কোনও প্রতিষেধক নেই। সংক্রমণ আটকাতে গেলে পরিস্কার থাকতে হবে, ভিড় এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ফলে দেশজুরে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বাদে ২১ দিনের লকডাউন জারি করে কেন্দ্র। বন্ধ করে দেওয়া হয় গণপরিবহন, উড়ান চালচল। প্রবল সমস্যায় দেশবাসী, বিশেষ দিন আনা দিন খাওয়া স্তরের মানুষেরা। এই পরিস্থিতিতে একাংশের মানুষকে নিয়ম ভেঙতেও দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেও লকডাউনে অসুবিধার কথা মেনে নিয়ে 'মন কি বাতে' ক্ষমা চেয়ে নেন প্রদানমন্ত্রী মোদী। বলেন, 'আমি জানি এই লকডাউনের ফলে মানুষের অনেক সমস্যা-দুর্ভোগ হচ্ছে। তার জন্য আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তবেস, লকডাউন ভাঙলে করোনা থেকে বাঁচা মুশকিল। অসুবিধায় সত্ত্বেও প্রত্যেক দেশবাসীর লকডাউন মেনে চলা উচিত।'
Read the full story in English