অর্থনীতিতে ইতিহাস রচনা করলেন বাংলার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৯৮ সালে অমর্ত্য সেন প্রথম ভারতীয় হিসেবে পেয়েছিলেন অর্থনীতির সর্বোচ্চ সম্মান নোবেল। দীর্ঘ ২১ বছর পর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটল। সস্ত্রীক নোবেল পেলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে বসে ছোট ছেলের মুখে দুপুর আড়াইটে নাগাদ খবরটা পেলেন মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, "খুব ভাল লাগছে। দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে কাজ করে এই সম্মান পেয়েছে অভিজিৎ। এই মডেল যদি বিশ্ব জুড়ে প্রয়োগ করা হয়, তবেই সার্থকতা"। নির্মলা দেবী নিজেও কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ অব সোশাল সায়েন্সেস-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর। বাবা দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সি কলেজেই অর্থনীতির অধ্যাপক ছিলেন।
আরও পড়ুন, বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোবেল জয়
কত ঘন ঘন কথা হত ছেলের সঙ্গে, কী নিয়েই বা কথা হত? - সব কৌতূহল প্রশমন করে নির্মলা দেবী জানালেন, "ও তো ১৯৮৩ তে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছে পড়াশোনা করতে। তারপর থেকে বাইরে বাইরেই। কী খেলে, কেমন আছ, এসব কথা আমাদের প্রায় হয়ই না। ওঁর কাজ নিয়েই কথা হয়। সারা বিশ্বের দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে কাজ করছে ও। সে সব নিয়েই কথা হত। আমাদের দেশের অর্থনীতি যে দিকে এগোচ্ছে, সে সব নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে ও। এসব নিয়েই কথা হত"।
আরও পড়ুন, অর্থনীতিতে ফের নোবেল জয় বাঙালির, অভিনন্দন জানালেন শিল্পীরা
সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেওয়ার মাঝেই মার্কিন মুলুক থেকে এল ছেলের ফোন। অনুযোগের সুরে নির্মলা দেবী টেলিফোনের এ প্রান্ত থেকে সদ্য নোবেলজয়ীকে বলে উঠলেন, "কাল যখন ফোন করলে, কিছু বললে না তো, এখন আমায় লোকে পাগল করে দিচ্ছে"।
এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া তিনজনের মধ্যে রয়েছেন এস্থার ডাফলো। ঘটনাচক্রে ডাফলো অভিজিৎ বাবুর স্ত্রী। পুত্রবধুর প্রসঙ্গ আসতেই বললেন, "বিয়ের অনেক আগে থেকেই কলকাতায় আমাদের বাড়ি আসত ও। ওরা একসাথেই কাজ করেছে। এখন দু'জনেই রয়েছে এমআইটি (ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি)-তে"।
ভিডিও- জয়প্রকাশ দাস