শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি হল। এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে না। এ বছরের পুরস্কার পরের বছর প্রদান করা হবে বলে জানিয়ে দিল সুইডিশ অ্যাকাডেমি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথমবার এ ঘটনা ঘটল। যৌন হেনস্থায় সুইডিশ অ্যাকাডেমির এক সদস্যের স্বামীর অভিযুক্ত হওয়ার জেরে বাতিল হল এই পুরস্কার প্রদান। নজিরবিহীন এ সিদ্ধান্তে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সারা দুনিয়ায়। নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করার আগে অ্যাকাডেমির প্রতি মানুষের আস্থা ফেরানোটা দরকার বলেই মনে করছেন অ্যাকাডেমির স্থায়ী সচিব অ্যান্ডার্স অলসন।
আরও পড়ুন, এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বাতিল হতে পারে! কেন?
সুইডিশ অ্যাকাডেমির প্রাক্তন সদস্য ক্যাটারিনা ফ্রস্টেনসনের স্বামী ফরাসি ফোটোগ্রাফার জাঁ ক্লদ আর্নল্টের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন ১৮ জন মহিলা। অভিযোগ, এই হেনস্থার ঘটনা যেখানে ঘটে, সে জায়গাটি সুইডিশ অ্যাকাডেমিরই সম্পত্তি। একটি সংবাদপত্র তিনজন প্রত্যক্ষদর্শীকে উদ্ধৃত করে অভিযোগ আনে, ২০০৬ সালে অভিযুক্ত ফোটোগ্রাফার রাজপরিবারের এক সদস্যার গায়েও হাত দিয়েছেন। জাঁ ক্লদ আর্নল্ট সে অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন। এ নিয়ে রাজপরিবারের বয়ান পাওয়া যায়নি। তবে মি টু ক্যাম্পেনে সমর্থন জানিয়েছিলেন তাঁরা। ওই সদস্যের স্বামীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে অন্তর্দন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে অ্যাকাডেমি। অ্যাকাডেমি থেকে ক্যাটারিনাকে সরতে বাধ্য করা হয়। ক্যাটারিনার ইস্তফার পর এ ঘটনা নয়া মোড় নেয়। অ্যাকাডেমির কয়েকজন সদস্য পদত্যাগ করেন। যা ঘিরে অচলাবস্থা তৈরি হয়।
আরও পড়ুন, ৬ বঙ্গসন্তানের ক্যারিশমায় লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে নাম লেখাল টিভিএসের বাইক
আর্নল্টের স্ত্রী সুইডিশ অ্যাকাডেমির সদস্য ক্যাটারিনাকে অ্যাকাডেমি থেকে সরানোর প্রতিবাদে যাঁরা পদত্যাগ করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কমিটির প্রধান সারা ড্যানিয়াসও।তবে সুইডিশ অ্যাকাডেমির সদস্যরা সাংগঠনিকভাবে পদত্যাগ করতে পারেন না। তাঁদের আজীবনের জন্য মনোনীত করা হয়।