অসংক্রামক ব্যাধির (নন-কমিউনিকেবল ডিজিজেস এনসিডি) কারণে ভারতে শুধুমাত্র একবছরে ৬৬ শতাংশ মৃত্যু ঘটেছে। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে আনল WHO। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে ভারতে ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে মোট মৃত্যুর ৬৬ শতাংশই ঘটেছে অসংক্রামক ব্যাধির (নন-কমিউনিকেবল ডিজিজেস এনসিডি) কারণে।
শুধু তাই নয় WHO -এর সাবধান বানী এখন থেকে এই ধরণের রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ৩০ ঊর্ধ্ব মানুষের মধ্যে ২২ শতাংশই তাদের ৭০ বছরে পা দেওয়ার আগেই এই ধরণের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজেস প্রাণ হারাবেন। এর মধ্যে রয়েছে কার্ডিওভাসকুলার রোগ (হৃদরোগ), ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ। সেই সঙ্গে রয়েছে ব্লাড প্রেসারের মত সমস্যাও।
৬০লক্ষের বেশি মানুষ এই অসংক্রামক ব্যাধির কারণে গত এক বছরে প্রাণ হারিয়েছেন। যার মধ্যে বেশিরভাগ রোগই নিরাময় যোগ্য। WHO-তার রিপোর্টে জানিয়েছে অনেকক্ষেত্রে এই ধরণের রোগ সরাসরি মৃত্যুর কারণ না হলেও এর কারণে সৃষ্ট অন্যান্য রোগ মানুষের মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।
কার্ডিওভাসকুলার রোগের কারণে ভারতে প্রতিবছর ২৮ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয় বলেও উল্লেখ রয়েছে এই রিপোর্টে। সেই সঙ্গে ৬৩ শতাংশ মানুষ এই ধরণের অসংক্রামক ব্যাধির কোন চিকিৎসা করেন না। এর পাশাপাশি স্থূলতাও একটি অসংক্রামক ব্যাধির (নন-কমিউনিকেবল ডিজিজেস এনসিডি)মধ্যে পড়ছে। যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এর ফলে নানান রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে এমনটাই জানিয়েছে WHO।
আরও পড়ুন: < যুদ্ধ নিয়ে মোদীর মনোভাবের ঢালাও প্রশংসা ব্রিটেনের, ভারতের পাশে থাকার বার্তা >
শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার কারণে প্রতি বছর ১২ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে উল্লেখ রয়েছে এই রিপোর্টে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে প্রতি লাখে ১১৩ জন এই অসংক্রামক ব্যাধির কারণে মারা যাচ্ছেন।
বায়ু দূষণের কারণে ভারতে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার হার বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বেশি ডায়াবেটিস, হাঁপানি এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত প্রায় অর্ধেক মানুষ অকালেই প্রাণ হারাচ্ছেন। পাশাপাশি রয়েছে ক্যানসারের মত রোগের ঝুঁকি। তথ্য বলছে ৭০ বছরের কম ৬৮ শতাংশ মানুষের মৃত্যুর জন্য এই রোগ দায়ি।