বাংলার পর বাম শাসিত কেরালায় বন্ধ হয়ে গেল ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রারের (এনপিআর) কাজ। কেরালার প্রশাসন সংক্রান্ত দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, নয়া নাগরিকত্ব আইন ঘিরে তৈরি অনিশ্চয়তার আবহে এনপিআর-এর কাজ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দানা বেঁধেছে। সাধারণ মানুষের ধারনা, দেশজুড়ে কেন্দ্রের প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি চালুর একটি ধাপ হল এনপিআর। যে কারণে এই মুহূর্তে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রারের আপডেট সংক্রান্ত সমস্ত কাজ রাজ্য সরকার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে কেরালায় মোদী সরকারের নতুন নাগরিকত্ব আইন চালু না করার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সিপিএম সহ বামেরা এনআঈরসি-রও বিরোধী। মোদী সরকারেরর কালা কানুনের প্রতিবাদে কেরালায় বাম ও কংগ্রেস এক যোগে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
বাংলার পর কেরালায় বন্ধ হল ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রারের কাজ।
মুখ্যমন্ত্রী পিুনারাই বিজয়নের দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এর আগে কেরালা পিএনআরের জনব্য সব ধরনের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। এই কাজের জন্য প্রাথমিক আয়োজনও করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সিএএ আপাতত আদালতের বিচারাধীন এবং আইনটি সংবিধানের মূলনীতি থেকে বিচ্যুত হয়েছে। তাই আপাতত এনপিআরের কাজ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: এনপিআর কী, এ নিয়ে এত বিতর্ক কেন?
পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রারের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত জেলায় জেলায় এনপিআরের প্রস্তুত, আপডেট এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজ বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
মোদী সরকার জানিয়েছে এনআরসি ও এনপিআরের মধ্যে কোন যোগাযোগ নেই। ২০২১ সালে আদমশুমারি হবে তারই প্রাথমিক প্রস্তুতি হল এনপিআর। অমিত শাহ আগে বলেছিলেন, সিএএ চালুর পরে দেশজুড়ে এনআরসি হবে। তাই ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রারকে ভবিষ্যতের নাগরিকদের তালিকা তৈরির অঙ্গ হিসেবে দেখছে বিরোধী দলগুলো। যা ঘিরেই দ্বন্দ্ব দানা বেধেছে।
Read the full story in English