আগামী বছরেই আসামে নির্বাচন। বর্তমানে আসামের ইস্যু একটাই তা হল- নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)। সেই সূত্রকে প্রাধান্য দিয়েই বিজেপি মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে জানান গত বছরের আগস্টে প্রকাশিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি 'মৌলিকগতভাবে ভুল' ছিল। তাই সুপ্রিম কোর্ট যদি অনুমতি দেয় তাহলে নির্বাচনের পর ফের নতুনকরে আবার কাজ শুরু হবে।
গেরুয়া শিবিরের নেতা আরও বলেন আসামবাসীর জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে 'মডার্ণ মুঘলরা' (এই শব্দের ব্যাখ্যা দেননি মন্ত্রী) প্রবেশ করেছে। তাঁদের থামানোর জন্য দীর্ঘ রাজনৈতিক লড়াইয়ের প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, "আসাম থেকে 'আধুনিক' মুঘলদের অপসারণের জন্য এই লড়াই দীর্ঘ হবে ... আমরা যদি তাঁদের সঙ্গে আরও পাঁচ বছর লড়াই করতে পারি তবে তাঁদের পরাজিত করা যাবে।" তবে 'এনআরসি' অপরিহার্য ছিল লড়াইয়ের জন্য এমনটাও জানান মন্ত্রী।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
আরও পড়ুন, ‘দেখব কে কাকে উপড়ে দেয়’, শাহকে নিশানা মমতার
এই প্রেক্ষিতে প্রাক্তন এনআরসি রাজ্য সমন্বয়কারী প্রতীক হাজেলার প্রসঙ্গ এনে “মূলত ভুল এনআরসি” তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি এমন অভিযোগও করেন। প্রসঙ্গত, নাগরিকপঞ্জী তৈরি নিয়ে আসামের রাজ্য সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পরে সুপ্রিম কোর্ট গত বছর মধ্য প্রদেশে তাঁকে স্থানান্তরিত করে।
উল্লেখ্য, এনআরসিতে আসামে বিপুল সংখ্যক হিন্দু-সহ ১৯ লক্ষ ভারতীয়কে বাদ দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট এনআরসির কাজ পর্যবেক্ষণ করেছিল। কিন্তু প্রতীক হাজেলা এটিকে ভুলভাবে চালনা করেছে। আমরা বলতে পারি, চোরকে কার্যত পুলিশ বানানো হয়েছিল। তিনি মৌলিকভাবে ভুল এনআরসি প্রস্তুত করেছিলেন। নির্বাচনের পর সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি দিলে নতুনভাবে এনআরসির কাজ শুরু হবে। আমরা ইতিমধ্যেই নামগুলির পুনরায় যাচাইয়ের অনুমতি চাইছি শীর্ষ আদালতের কাছে।"
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন