তাঁদের সোশাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে উত্তাল দেশ। বর্হিবিশ্বে প্রশ্নের মুখে ভারতের ধর্মনিরপপেক্ষ অবস্থান। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল দিল্লি বিজেপির মিডিয়া বিভাগের বহিষ্কৃত প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল, সাংবাদিক সাবা নকভি সহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন হিন্দু মহাসভার কর্তা পূজা শাকুন পাণ্ডে, রাজস্থানের মৌলানা মুফতি নাদিম এবং পিস পার্টির প্রধান মুখপাত্র শাদাব চৌহান। সাসপেন্ডেড বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা এবং অন্যান্য সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধেও দ্বিতীয় এফআইআরটি নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই আটজনের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়া পোস্ট দ্বারা দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে পুলিশের অভিযোগ।
দিল্লি পুলিশের একজন সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, অভিযুক্তদের পোস্টগুলি ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশনস (IFSO) ইউনিট খতিয়ে দেখছে এবং ভিন্ন ধর্ম সম্পর্কিত আপত্তিকর মন্তব্য মিলেছে। ডিসিপি (IFSO) কে পি এস মালহোত্রা বলেন, 'যাঁরা ঘৃণার বার্তা ছড়াচ্ছিল, বিভিন্ন গোষ্ঠীকে উসকানি দিয়েছিল এবং শান্তি বিরোধী ক্ষতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছিল, আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারার অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করেছি।'
ডিসিপি (IFSO) কে পি এস মালহোত্রার কথায়, 'বিভিন্ন সম্প্রদায়ের একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই এফআইআরটি করা হয়েছে এবং সাইবার স্পেসে অশান্তি সৃষ্টি করার অভিপ্রায়ে মিথ্যা এবং ভুল তথ্য প্রচারে বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া সত্তার ভূমিকা তদন্ত করবে।'
আরও পড়ুন- ঊর্ধ্বমুখী দৈনিক সংক্রমণ অব্যাহত, ৩০ হাজার পেরলো অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা
এফআইআর-এ নাম থাকা অন্যরা হলেন আবদুর রহমান, গুলজার আনসারি এবং অনিল কুমার মীনা।
পুলিশ জানিয়েছে, মাওলানা মুফতি নাদিম রাজস্থানের বুন্দিরের বাসিন্দা এবং একটি ভাইরাল ভিডিওতে তাঁকে দেখানো হয়েছে। ওই ভিডিওতে মালওয়ানাকে হিংসামূলক হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে। যাঁরা নবীর বিরুদ্ধে কটুক্তি করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে এই হুমকি দিয়েছিলেন মাওলানা মুফতি নাদিম।
সম্প্রতি, আলিগড় পুলিশও সোশাল মিডিয়ায় জুমার নামাজের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে হিন্দু মহাসভার পদাধিকারী পূজা শাকুন পান্ডের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। হিন্দু মহাসভার ৪১ বছর বয়সী জাতীয় সম্পাদককেও ২০১৯ সালে তাঁর স্বামী এবং হিন্দু মহাসভার জাতীয় মুখপাত্র অশোক পাণ্ডেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকীতে হত্যার পুনঃনির্মাণের অভিযোগে পদক্ষেপ করেছিল পুলিশ।