চিলকা হ্রদে মোটরচালিত বোটের দৌরাত্ম্য রুখতে এবার কড়া ওড়িশা হাইকোর্ট। একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবার রাজ্য সরকার এবং চিলিকা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে একটি নোটিশ জারি করেছে হাইকোর্ট। হ্রদের মঙ্গলজোড়ি অংশে মোটরবোটের অনিয়ন্ত্রিত ঘোরাফেরায় আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটি দায়ের করেছিলেন মৎস্যজীবী দিবাকর বেহেরা।
আইনজীবী আশিস কুমার মিশ্র মামলাকারীর হয়ে হাইকোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেন। চিলকা হ্রদের মঙ্গলজোড়ি এলাকাটিতে সংবেদনশীল একটি পরিবেশ রয়েছে। হ্রদের ওই অংশে বছরভর বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা মেলে। শীতকালে পরিযায়ী পাখিদের ভিড় জমে যায় জলাভূমির এই অংশে।
কিন্তু দিনের পর দিন ওই অংশে বেআইনিভাবে ঘোরাফেরা করছে মাছ ধরার নৌকা। যন্ত্রচালিত ওই নৌকাগুলির তীব্র শব্দে সৃষ্ট দূষণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। পাখিদের আনাগোনা কমছে। সেই কারণে চিলকা হ্রদের মঙ্গলজোড়ি অশটিকে 'পাখিদের অভয়ারণ্য' ঘোষণার দাবি করেন মামলাকারী।
মামলাকারী মৎস্যজীবী দিবাকর বেহেরার আরও অভিযোগ, মোটরবোটগুলির অনিয়ন্ত্রিত ঘোরাফেরার জেরে সৃষ্ট শব্দ পরিযায়ী পাখিদের জন্য প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সেখানে বছরভর বিভিন্ন ঋতুতে ১৬০ প্রজাতিরও বেশি পাখির আনাগোনা থাকে। শীতকালে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় জমায় হ্রদের ওই অংশে।
আরও পড়ুন- মাদক পাচারের ছক বানচাল, তৎপর BSF, পাঞ্জাব সীমান্তে পাক ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি
শুধুমাত্র মোটরবোটের অনিয়ন্ত্রিত ঘোরাফেরা এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে বলে দাবি করেন মামলাকারী। মঙ্গলজোড়ি অংশটিকে 'নীরব এলাকা' ঘোষণারও দাবি করেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, মঙ্গলজোড়ি জলাভূমিতে মাছ ধরার জন্য মোটরবোটগুলি ঘুরছে। আগে এলাকাটি পাখিদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। তবে এখন বিধিকে তোয়াক্কা না করেই ঘুরছে বোট।
এদিকে, জনস্বার্থ এই মামালাটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ওড়িশা হাইকোর্টও। আগামী শুক্রবার মামলাটির শুনানি হবে। আইনজীবী মিশ্র বলেন, "হাইকোর্ট বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। চিলিকা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সিইওকে ১১ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।" যদিও চিলিকা উন্নয়ন পর্ষদের সিইও সুশান্ত নন্দা জানান, তাঁরা এখনও এব্যাপারে সরকারিভাবে এখনও কোনও তথ্য পাননি।
Read story in English