অবশেষে পুলিশি জালে ধরা পড়ল ওড়িশার পটনাগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনার মূল অভিযুক্ত। এ ঘটনার একমাত্র চক্রী পুঁজিলাল মেহেরকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ওড়িশার ক্রাইম ব্রাঞ্চ। গত ফেব্রুয়ারিতে একটি বিয়েতে বোমা ভরা বাক্স উপহার দেওয়া হয়েছিল এক নবদম্পতিকে। ওই বোমা ফেটে নিহত হন বর ও তাঁর ঠাকুমা। মারাত্মক ভাবে জখম হন কনে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরের মায়ের সঙ্গে অভিযুক্তের বিবাদের জেরেই এমনটা ঘটেছে। জ্যোতি বিকাশ জুনিয়র কলেজের অধ্যক্ষ পদ নিয়েই নিয়ে নিহত সৌম্যশেখরের মা সংযুক্তা সাহুর সঙ্গে গণ্ডগোল চলছিল পুঁজিলাল মেহেরের। তবে বোমা ভরা উপহার বাক্সটি আদৌ নবদম্পতি সৌম্য শেখর ও রীমার জন্যই ছিল, নাকি সৌম্যর বাবা-মায়ের জন্য, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, কিশোরী ধর্ষণ: যাবজ্জীবন সাজা ধর্মগুরু আসারাম বাপুর
১৮ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয় সৌম্য শেখর ও রীমার। ছবি- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন, সুরাতে কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় নয়া মোড়
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে ক্রাইম ব্রাঞ্চের আইজি জানিয়েছেন যে, আট মাস ধরে এই বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল অভিযুক্ত। দীপাবলির সময় বাজি কেনে সে। একইসঙ্গে সংগ্রহ করে বোমার পাউডার। এরপর ২ কেজি বোমা বানায় পুঁজিলাল। ঘটনার দিন সে যে নিজের শহরে ছিল তা প্রমাণ করতে কলেজে গিয়ে ক্লাসও নেয় সে। ক্লাস শেষ হওয়ার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি বিনা টিকিটে ট্রেনে চড়ে রাইপুর যায়। এমনকি, সিসিটিভির নজর এড়াতে বোমাভরা প্যাকেটটি ক্যুরিয়র মারফৎ পাঠানোর জন্য রাইপুরের এক অটোচালককে টাকা দিয়েছিল পুঁজিলাল।
আরও পড়ুন, যৌন নির্যাতনে ফের নাম জুড়ল বিজেপির, আবারও শিশুকে যৌন হেনস্থা!
সৌম্যর বাবা রবীন্দ্রনাথ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, বিয়েতে নিমন্ত্রিত ছিল অভিযুক্ত ব্যক্তি। কলেজের সবাইকেই এই বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুসারে, ওই কলেজে যোগ দেওয়ার কিছুদিন পর অভিজ্ঞতার নিরিখে সৌম্যর মা প্রিন্সিপাল হন। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল অভিযুক্ত। এ নিয়ে কলেজে পুঁজিলাল তাঁর স্ত্রীকে হেনস্থাও করত বলে অভিযোগ করেছেন সৌম্যর বাবা।
আরও পড়ুন, ইন্টারনেট তত্ত্বের যুক্তি খাটাতে মোদি সরকারের স্যাটেলাইট কৃতিত্বের প্রসঙ্গ টানলেন বিপ্লব
এ ঘটনায় অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের সাজার দাবি জানিয়েছেন নিহত সৌম্যের স্ত্রী রীমা।