ওমিক্রন এখন ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ পর্যায়ে রয়েছে। মেট্রো শহরগুলিতে এর প্রকোপ বেশি। 'ইন্ডিয়ান সার্স কোভ-২ জেনোমিক্স কনসর্টিয়াম' বা INSACOG-এর সর্বশেষ বুলেটিনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে যে, BA.2 ওমিক্রনের একটি সংক্রামক উপ-ভেরিয়েন্ট, যার হদিশ দেশের উল্লেখযোগ্য অংশে মিলেছে।
রবিবার NSACOG-এর ১০ জানুয়ারির বুলেটিন প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, ওমিক্রন আক্রান্তদের বেশিরভাগই এখনও উপসর্গহীন। তবে ক্রমেই ওমিক্রন আক্রন্তদের হাসপাতালে ভর্তি এবং আইসিইউ কেস বাড়ছে। ফলে ঝুঁকির মাত্রা থেকেই গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ওমিক্রনের কারণে চোখে সমস্যা হতে পারে? জানুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বুলেটিনে রয়েছে যে, 'ভারতে ওমিক্রন গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে রয়েছে ও একাধিক মেট্রো শহরে এর প্রকোপ বেশি। ফলে বড় শহরগুলিতেই নতুন করে আক্রান্তের হার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। BA.2 ওমিক্রনের একটি সংক্রামক উপ-ভেরিয়েন্ট, যার হদিশ দেশের উল্লেখযোগ্য অংশে মিলেছে। এস-জিন নির্ভর ড্রপ-আউট পরীক্ষায় তাই বেশি সংখ্যক ফলস নেগেটিভ ফল মিলতে পারে।'
NSACOG-র বুলেটিনে বলা হয়েছে, 'সম্প্রতি যে B.1.640.2 প্রজাতির হদিশ মিলেছে, তার উপর নজর রয়েছে। শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী শক্তিকে এড়িয়ে যেতে পারে এমন দ্রুতগতিতে সংক্রমণের এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ মেলেনি। ফলে এটা উদ্বেগজনক প্রজাতি নয়।'
আরও পড়ুন- মডেরনা নাকি ফাইজার, ভ্যাকসিন হিসেবে কোনটিকে শ্রেষ্ঠ বলেই ধরে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?
পাশাপাশি ওই প্রতিষ্ঠানের তরফে বলা হয়েছে, ‘সার্স কোভ-২ ভাইরাসের যে জিনগত পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূল হাতিয়ার হচ্ছে কোভিডবিধি পালন এবং করোনা টিকা গ্রহণ।’
গত ৩ জানুয়ারি INSACOG-র বুলেটিনও রবিবার প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, ভারতে এখন ওমিক্রনের সংক্রমণ অভ্যন্তরীণ কারণে ছড়িয়ে পড়বে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীরা সেজন্য দায়ী হবেন না। ক্রমশ পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে INSACOG জিনোম সিকোয়ন্সিংয়ের কৌশলের নির্ধারণের জন্য কাজ করে চলেছে।
Read in English