সংক্রমণের বিদ্যুৎ গতি দিল্লিতে। করোনার থার্ড ওয়েভে দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড দিল্লিতে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ২৮ হাজার ৮৬৭। ২০২১-এর ২০ এপ্রিলের পর এটাই দিল্লির সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণ। এর আগে গত বছরের ২০ এপ্রিল করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার সময় দিল্লির দৈনিক সংক্রমণ ছিল ২৮ হাজার ৩৯৫। দিল্লিতে করোনা পজিটিভিটি রেট বেড়ে ২৯.২ শতাংশ।
Advertisment
দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজধানীতে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯৪ হাজার ১৬০। যাঁদের মধ্যে ২ হাজার ৪২৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। গত বছরের এপ্রিল-মে মাস নাগাদ দিল্লিতে করোনার সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। ১৮ হাজারেরও বেশি করোনা রোগী হাসপাতালগুলিতে ভর্তি ছিলেন।
৫ হাজার ৭০০-র বেশি রোগী আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন। অনেককেই অক্সিজেন সাপোর্টযুক্ত বেডে রাখতে হয়েছিল। ১০-১৪ দিন পর্যন্ত তাঁদের অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়েছিল। গত বছরের সেই সময়টিতে দিল্লিতে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এমনকী হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় আরও ভয়াবহ হয় পরিস্থিতি। দিল্লি ছেড়ে অনেকেই ভিনরাজ্যের হাসপাতালগুলিতে গিয়ে ভর্তি হন।
এদিকে, দিল্লিতে বৃহস্পতিবার ২৮ হাজারেরও বেশি সংক্রমণের পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। সব মিলিয়ে চলতি জানুয়ারি মাসে এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে করোনার বলি ১৬৪। গত বছরের ৩ মে দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেছেন, ''প্রতিদিন নতুন আক্রান্তের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই সময়েই সর্বোচ্চ সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।''
তিনি আরও বলেন, ''আইসিইউতে থাকা রোগীদের মধ্যে খুব কম কেস রয়েছে যাঁরা কেবল কোভিডের কারণে ভর্তি হয়েছেন। বেশিরভাগ রোগীই অন্য কোনও রোগের জন্য চিকিৎসা করাচ্ছেন। এর মানে হল কোভিডের কারণে হাসপাতালে রোগীরা কম ভর্তি হচ্ছেন। কিন্তু অন্যান্য রোগের কারণে ভর্তির প্রবণতা বেশি। যেহেতু তাঁরও কোভিড আছে, তাই তাঁরা ভাইরাসের জন্য মনোনীত আইসিইউ বিছানায় ভর্তি হওয়া রোগীদের সংখ্যার মধ্যেও পড়ছেন।''