তিব্বতের ব্রহ্মপুত্র নদের উপর বিশাল বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা করেছে চিন। দীর্ঘদিনের এই পরিকল্পনা আগামী বছরেই বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। এই বাঁধ যারা তৈরি করবেন সেই চিনা সংস্থাকে উধৃত করে রবিবার এই খবর প্রকাশ করেছে চিনের সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন সংবাদমাধ্যম।
চিনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ইয়ান ঝিয়ং জানিয়েছেন, ইয়ারলাং জ্যাংবো নদীতে (ব্রহ্মপুত্রের চিনা নাম) এই বাঁধ তৈরির মাধ্যমে জলবন্টন ও জাতীয় সুরক্ষা বজায় রাখা যাবে। উল্লেখ্য, ইয়ারলাং জ্যাংবো নদী অরুণাচলে পৌঁছে যার নাম হয়েছে সিয়াং। আসামে প্রবেশ করার পরে এই সিয়াংই পরিচিত হয় ব্রহ্মপুত্র নামে এবং এর পর ফের সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এই বিশাল নদী।
গ্লোবাল টাইমস সংবাদমাধ্যমকে ইয়ান ঝিয়ং বলেন, ‘ইতিহাসে এমন প্রকল্পের উল্লেখ নেই। চিনের জলবিদ্যুৎ শিল্পে এ এক ঐতিহাসিক সুযোগ।’ তিনি এও জানান, এই বাঁধ তৈরির মূল উদ্দেশ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও পরিবেশ সংরক্ষণ, জাতীয় নিরাপত্তা, জীবন যাপনের মানোন্নয়ন, শক্তি উৎপাদন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার লক্ষ্যেই এই প্রকল্প গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, হোয়াইট হাউসে যাওয়ার আগেই পা ভাঙলেন বাইডেন
পাশাপাশি চিনের বাঁধ নির্মান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ৪০ তম বর্ষ উদযাপনও করা হবে এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে। যদিও অনেকের মত, এই বাঁধ নির্মাণ হলে উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রবল জলাভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রসঙ্গত, নতুন প্রকল্পে উৎপাদিত জলবিদ্যুতের পরিমাণ বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রকল্প হিসেবে বিবেচিতও হতে পারে।
চিন ও ভারতের মধ্যে যে মৌ-চুক্তি সম্পাদিত হয়ে রয়েছে সেই মোতাবেক বন্যার সময় ব্রহ্মপুত্র ও শতদ্রু নদীর বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ সম্পর্কে ভারতকে তথ্য সরবরাহ করে চিন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন