ভোর রাতে যোগী রাজ্যের হোটেলে পুলিশি অভিযান। পুলিশি নির্যাতনে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে শোরগোল। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নিজের এলাকা গোরক্ষপুরের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় থানার শীর্ষ আধিকারিক-সহ ৬ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে পুলিশ এখনও কোনও মামলা রুজু করেনি।
জানা গিয়েছে, কানপুরের প্রপার্টি ডিলার মনীশ কুমার গুপ্তাকে হোটেলের ঘরে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ। তার জেরেই নাকি মৃত্যু হয়েছে ব্যবসায়ীর। পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধীদের খোঁজে হোটেলে হানা দেন তাঁরা। হোটেলের ঘরে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। যদিও মৃত ব্যবসায়ীর স্ত্রী গোরক্ষপুরের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, পুলিশ তাঁর স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে। প্রতিবাদ করায় আরও মারধর করা হয় তাঁকে। তাতেই মৃত্যু হয় ব্যবসায়ীর।
পুলিশ সুপার বিপিন টাডা জানিয়েছেন, "অপরাধীদের খোঁজে হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। তিন সন্দেহভাজন যুবক হোটেলে লুকিয়ে আছে বলে খবর ছিল। ভোর রাতে হোটেলের ম্যানেজারকে নিয়ে হোটেলে হানা দেওয়ার সময় একজন ভয়ে মাটিতে পড়ে যান আর আহত হন। পুলিশকর্মীরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের ময়নাতদন্ত করা হবে। তদন্ত করে দেখা হবে ওই তিনজন হোটেলে কী করছিল।"
আরও পড়ুন নিজের রাজ্যেই ‘অসম্মানিত’ যোগী, নামফলকে কালি লেপে দিল জনতা
মঙ্গলবার সন্ধেয় ব্যবসায়ীর স্ত্রী মীনাক্ষী দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "আমার স্বামী গোরক্ষপুরে কিছু কাজে গিয়েছিলেন। একটি হোটেলে রুম বুক করে আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে ঘরের মধ্যেই ছিলেন। এক জন বন্ধু আমাকে বলেছেন, পুলিশ আমার স্বামীকে নির্মমভাবে মেরেছে।" মীনাক্ষীর দাবি, তাঁর অভিযোগ সত্ত্বেও পুলিশ কোনও মামলা দায়ের করেনি। তাঁর চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেছেন, "কেন ওই ছজনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হবে না? কে আমার ছেলেকে বড় করবে? আমি মোদীজি আর যোগীজির কাছে বিচারের জন্য আবেদন করছি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন