এক দেশ, এক রেশন কার্ড। দেশের সর্বত্র রেশন সামগ্রী বণ্টন পদ্ধতি মসৃণ করার জন্যই এই উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এক রাজ্যের বাসিন্দা সহজেই ভিনরাজ্যে গিয়ে রেশন কার্ড দেখিয়ে খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহের সুযোগ পাচ্ছেন।
ইতিমধ্যেই ৩৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এর ফলে ৭৫ কোটি উপভোক্তা উপকৃত হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার খাদ্য ও জনবণ্টন মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব এস জগন্নাথন জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই অসম ও ছত্তীশগড়কেও এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হবে।
খাদ্য ও জনবণ্টন মন্ত্রক জানিয়েছে, ওএনওআরসি প্রকল্পের অধীনে ৫০ কোটি পোর্টেবিলিটির লেনদেন হয়েছে। ভর্তুকির মাধ্যমে প্রায় ৩৪ হাজার ১০০ কোটি টাকার সমান খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়েছে। করোনাকালেই প্রায় ৪৫ কোটি পোর্টেবিলিটি লেনদেন হয়েছে। খাদ্য ভর্তুকিতে যা প্রায় ৩০ হাজার ১০০ কোটি টাকার সমান।
একটি অনলাইন প্রেস কনফারেন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রকের সচিব সুধাংশু পান্ডে জানান, আন্তঃরাজ্য লেনদেন চলতি মাসে ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। তিনি আরও জানান, দিল্লি থেকে ওএনওআরসি শুরু হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত দিল্লিতেই আন্তঃরাজ্য পোর্টেবল লেনদেন সর্বোচ্চ সংখ্যায় হয়েছে।
আরও পড়ুন- পরিস্থিতি এখনও ‘উদ্বেগজনক’, নাগাল্যান্ডে AFSPA-র মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়াল কেন্দ্র
এক দেশ, এক রেশন কার্ড ব্যবস্থায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সুফল মিলছে। এক রাজ্যের বাসিন্দা অন্য রাজ্যে গিয়ে সহজেই রেশনকার্ড দেখিয়ে খাদ্য সামগ্রী-সহ অন্যান্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারছেন। এই প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপক সুবিধা হয়েছে।
বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভিন রাজ্যে থাকলেও খাদ্যের অভাবে সমস্যায় পড়তে হয়নি বহু মানুষকে। দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই এই প্রকল্প পুরোদমে চালু হয়ে গিয়েছে। তবে অসম ও ছত্তীশগড়ে এখনও এই ব্যবস্থা চালু করা যায়নি। শীঘ্রই ওই দুই রাজ্যেও এই প্রকল্প চালু হবে বলে আশাবাদী কেন্দ্রীয় সরকার।
Read full story in English