দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে সাড়ে চার হাজার ছুঁইছুঁই, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। বন্ধ হতে চলেছে দেশের শীর্ষ হাসপাতালগুলি। সেই আবহে উঠে এল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ ঘটনা ঘটেছে দেশের ৩১টি জেলায়। যেখানে সবথেকে বেশি সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিকেরা রয়েছেন।
এখনও পর্যন্ত দেশের ২৮৪টি জেলা থেকে করোনার ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গিয়েছে। হিসেব করে দেখলে দেখা যায় আক্রান্তের সংখ্যার ৩৪.৭১ শতাংশ সেই সব জেলা থেকে সংক্রমিত হয়েছে যেখানে সবথেকে বেশি পরিযায়ী শ্রমিকেরা রয়েছেন। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৬-১৭ অনুযায়ী এই ৩১টি জেলায় কাজের নিরিখে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটেছে। সেগুলি হল- উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগর, হরিয়ানার গুরগাও, মুম্বাই, মুম্বাইয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকা, থানে, পুনে, চেন্নাই, কাঞ্চিপুরম, এরোদে, কোয়েম্বাটুর, তিরুভাল্লুর, ইন্দোর, ভোপাল, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, তেলেঙ্গানা, সুরাট এবং চন্ডিগড়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর্মীদের দেহে পাওয়া যাচ্ছে করোনাভাইরাস, বন্ধ হতে পারে দেশের শীর্ষ হাসপাতালগুলি
এই শহরগুলি এবং জেলাগুলিকে অর্থনৈতিক সমীক্ষা দ্বারা "সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিকস্থল" হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই সমীক্ষায় গুজরাটের ভালসাদ, আসামের সোনিতপুর এবং পুডুচেরির মতো আরও কয়েকটি জায়গার উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা অনেক বেশি, তবে এখনও কোনও করোনায় আক্রান্তের ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি এই জেলাগুলি থেকে। সোমবার পর্যন্ত দিল্লিতেই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি (৫২৩ জন)। দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে মুম্বাই।
২০১৬-১৭ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্য প্রদেশ, পাঞ্জাব, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শ্রমিকেরা কাজের আশায় পাড়ি দিয়েছেন দিল্লিতে। দিল্লির পার্শ্ববর্তী গৌতম বৌদ্ধ নগর এবং গুড়গাঁওয়ে যথাক্রমে ৫০ এবং ২৫ টিরও বেশি করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই ২১ দিনের লকডাউন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত অভিবাসন কেন্দ্রগুলিতে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফে। গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের জানিয়ে দেন যে লকডাউন ওঠার পর রাজ্যের পরিস্থিতি মোকবিলা করতে সব রকম পরিকল্পনার দিকে নজর দিতে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন