সচেতনতা সত্ত্বেও দেশ থেকে করোনা সংক্রমণ পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। করোনা সংক্রমণ থেকে থেকে মানুষকে নিরাপদ রাখতে বিনামূল্যে সরকারের তরফে চালু করা হয় বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ। কিন্তু টিকা গ্রহণে সাধারণ মানুষের উদাসীনতা বারে বারেই চোখে পড়েছে। বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা কিছু ধরা পড়েনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে ৭৫ দিনের বিনামূল্যে কোভিড বুস্টার ডোজের কর্মসূচীর আওতায় টিকা নিয়েছেন মাত্র ২৭ শতাংশ মানুষ। সরকারি তথ্য অনুসারে এই সময়ের মধ্যে মাত্র ১৫.৯২ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর স্মরণে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে এই অভিযান শুরু হয়। এটি চালু হওয়ার আগে, দেশের মাত্র 8 শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ পেয়েছিলেন। প্রচারাভিযানের শেষেও সেই সংখ্যা ছুঁয়েছে মাত্র ২৭ শতাংশ। একইভাবে, ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশ এখনও তৃতীয় ডোজ পায়নি। ১লা অক্টোবর, থেকে সরকারি নিয়ম অনুসারে বুস্টার ডোজের জন্য নির্ধারিত ফি দিতে হবে। বুস্টার ডোজ বিনামূল্যে দেওয়া হবে কি না সে সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশ জারি করেনি।
আরও পড়ুন: < মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা! আজই লঞ্চ হতে চলেছে 5G পরিষেবা, মোদীর হাত ধরেই শুভ সূচনা >
স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের ৭৫ দিনের জন্য বিনামূল্যে কোভিড ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ দেওয়ার কাজ শুরু হয় জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে। বিনামূল্যেই পরিষেবা বন্ধ হয় গত ৩০শে সেপ্টেম্বর। এখন বুস্টার ডোজ নিতে গাঁটের কড়ি খরচ করতে হবে সাধারণ মানুষকে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ৭৫ দিনের এই সময়কালে দেশে ১৩.০১ লক্ষেরও বেশি টিকা কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচী চলেছিল।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিতে মানুষের উৎসাহ চোখে পড়েছিল। কিন্তু যখন বুস্টার ডোজের প্রশ্ন আসে, তখন মানুষজন তৃতীয় ডোজ নিতে বেশ উদাসীন ছিলেন অন্তত তথ্য তেমনই বলছে। বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ সুবিধা নিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন উৎসাহ ছিল না। এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ শতাংশ মানুষ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা কম হওয়ায়, সংক্রমণের ঘটনা কমে যাওয়ায় তৃতীয় ডোজটির চাহিদা কমেছে। এছাড়াও, একাধিক জায়গায় ভ্রমণ বা প্রবেশের জন্য বুস্টার ডোজ সার্টিফিকেট আর বাধ্যতামূলক নয়। সেই কারণেই এই উদাসীনতা।