বাড়ছে সংক্রমণ, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়েই চলছে টিকাকরণের কাজও। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক বুলেটিন অনুসারে জানা গিয়েছে দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিড -১৯ টিকার ডোজ ১৮৯ কোটি ছাড়িয়েছে।
সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে শনিবার দেশে প্রায় ২৩ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর পাশাপাশি শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের জন্য কোভিড-১৯ টিকার মোট ৭৮,৫৬৫ টি বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, এই বয়সের জনসংখ্যার মোট ৭,৪৭,৬৪৮ জন বুস্টার ডোজ পেয়েছেন। এদিকে সম্প্রতি এক সমীক্ষা সামনে এসেছে যেখানে দেখা গিয়েছে বুস্টার ডোজ নেওয়া মানুষের ৭০ শতাংশের কাছাকাছি করোনার তৃতীয় ঢেউ চলাকালীন সময়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হননি।
সমীক্ষা অনুসারে দেখা গিয়েছে বুস্টার ডোজ নেওয়া ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ করোনার তৃতীয় ঢেউকালীন সময়ে ওমিক্রন প্রজাতি দ্বারা আক্রান্ত হননি। এই সমীক্ষাই নতুন প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে তবে কি ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে বুস্টার ডোজ অপরিহার্য? ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে দেখা গিয়েছে ৬ হাজার মানুষের ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে এবং দেখা গিয়েছে ৭০ শতাংশ মানুষ তৃতীয় ঢেউকালে ওমিক্রন প্রজাতিতে আক্রান্ত হননি।
আরও পড়ুন: কোভিডে আর্থিক ক্ষতি পুন্রুদ্ধারে লাগতে পারে এক দশকেরও বেশি সময়, রিপোর্ট পেশ RBI এর
ন্যাশানাল কোভিড টাস্ক ফোর্সের সহ-চেয়ারম্যান ডাঃ রাজীব জয়দেবনের নেতৃত্বে করা গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সকল মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেননি। সমীক্ষায় মোট ৫হাজার ৯৭১ জন মানুষের ওপর করোনা ভাইরাসের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
যার মধ্যে ২৪শতাংশের বয়স ৪০ বছরের কম এবং ৫০ শতাংশের বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ মহিলা এবং ৫৩ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী। সমীক্ষা অনুসারে দেখা গিয়েছে ৫হাজার ৯৭১ জনের মধ্যে ২হাজার ৩৮৩ জন বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন এবং ওমিক্রন প্রজাতিতে আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৩০ শতাংশ। অর্থাৎ ৭০ শতাংশ মানুষ বুস্টার ডোজ গ্রহণ করে ওমিক্রন থেকে সুরক্ষা পেয়েছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে যে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ বছরের কম বয়সীরা। সেক্ষেত্রে আক্রান্তের হার ৪৫ শতাংশ। ৮০ বছরের ওপরে সংক্রমণের হার সবথেকে কম মাত্র ২১.২ শতাংশ। গবেষকরা আরও দেখেছেন করোনা ঠেকাতে কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড দুটি টিকার কার্যকারিতা প্রায় সমান।
ভারতে ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে ১৮ উর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ। এই বয়সের যারা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর নয় মাস পূর্ণ করেছেন তারাই এই বুস্টার ডোজ পাওয়ার যোগ্য।