করোনা আবহে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পাকিস্তানে। পাক সরকারের এহেন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এবার গর্জে উঠলেন পঞ্চাশেরও বেশি ধর্মগুরু। ধর্মীয় নীতি অনুসরণ করে মসজিদে আরও বেশি সংখ্য়ক মানুষকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হোক, যাতে সকলে আল্লার কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন, এমনটাই বলেছেন ওই ধর্মগুরুরা।
উল্লেখ্য়, করোনা মোকাবিলায় পাকিস্তানে মসজিদে ৫ জনের বেশি নমাজ পাঠে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। করোনা রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি নির্দেশিকা সত্ত্বেও সোমবার জামিয়া দারুল উলুম জাকিরাতে ৫৩ জনেরও বেশি শীর্ষ স্থানীয় ধর্মগুরু জড়ো হয়ে বৈঠকে বসেন। নমাজ পাঠে সরকারি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেন বলে দ্য় ডন নিউজ সূ্ত্রে খবর।
আরও পড়ুন: ভারতে দ্বিতীয় দফার লকডাউন কেমন হবে? জেনে নিন একনজরে
ইসলামাবাদে জামিয়া দারুল উলুম জাকিরার প্রেসিডেন্ট পীর আজিজুর রহমান হাজারভি বলেন, ''মসজিদ বন্ধ, শুক্রবারের প্রার্থনা বন্ধ করা, দেশবাসীর কাছে মোটেই গ্রহণযোগ্য় নয়''। তবে করোনা পরিস্থিতিতে হ্য়ান্ড স্য়ানিটাইজার, সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাাখার মতো সচেতনতামূলক পদক্ষেপ করতে রাজি হয়েছেন ধর্মগুরুরা।
এদিকে, পাকিস্তানেও করোনার দাপট অব্য়াহত। জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪২ জন। পাকিস্তানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ছুঁয়েছে ৫৭১৬। এই পরিস্থিতিতে সে দেশে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করছে পাক সরকার। সোমবার এ নিয়ে বৈঠকে বসেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার ফের বৈঠকে বসার কথা। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পাকিস্তানে লকডাউন জারি করার কথা আগে জানানো হয়েছিল।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন