বিপর্যস্ত সিকিম। গ্লেসিয়ার লেক লোনাক থেকেই বিপদের সূত্রপাত। এই লেকের উপর মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয়। যার জেরেই তিস্তা নদীতে হড়পা বানে ধুয়েমুছে সাফ আশপাশের বিস্তীরণ এলাকা। লোনাক লেকের ১০৫ হেক্টর জল বেড়িয়ে গিয়েছে। হড়পা বানের আগে ও পরে কেমন রয়েছে লোনাক লেকের অবস্থা? সেটাই ধরা পরেছে ইসরোর উপগ্রহ চিত্রে।
ইসরোর পক্ষ থেকে লোনাক হ্রদের একাধিক উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর, ২৮ সেপ্টেম্বর এবং ৪ অক্টোবরের ছবি প্রকাশ করেছে ইসরো। তাতেই দেখা যাচ্ছে বুধবারের ওই মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যার জেরে লোনাক লেকের আয়তন বদলে গিয়েছে। ১৭ এবং ২৮ সেপ্টেম্বর তোলা যে দুটি ছবি সেখানে দেখা যাচ্ছে লোনাক লেকের আয়ত অনেকটা বন্দুকের গুলির আকৃতির। ইসরোর দাবি অনুযায়ী, ওই দু'দিন হ্রদটির আয়তন ছিল যথাক্রমে আনুমানিক ১৬২.৭ এবং আনুমানিক ১৬৭.৪ হেক্টর।
আরও পড়ুন- ‘সেতুটা যেন খড়কুটোর মতো ভেসে গেল’, ভাইপো-ভাগ্নেদের নিয়ে সিকিমে অতান্তরে বাঙালি যুবক!
কিন্তু সেই আয়তনের বদল দেখা যাচ্ছে ইসরো প্রকাশিত বুধবার (৪ অক্টোবর) ভোর ৬টার ছবিতে। দেখা যাচ্ছে, গড়পা বানের পর হ্রদটির অর্ধেকেরও বেশি গায়েব। ইসরোর দাবি, ওই সময় লেকের আয়তন কমে হয়েছে আনুমানিক ৬০.৩ হেক্টর। লেকের বাকি অংশের জল তিস্তায় মিশে গিয়েছে। ফলে তিস্তা নদীর দু'পাড় ছাপিয়ে গিয়েছে। জলের স্রোতও মারাত্মক।
বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত, সিকিমে আকস্মিক বন্যার কারণে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের মধ্যে ২২ জন সেনাকর্মী। গোদের উপর বিষফোড়ার মত ভারতের আবহাওয়া বিভাগের (IMD) পূর্বাভাস আগামী দুই দিন সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
প্রকৃতির রোষে তছনছ সিকিম, আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারে যুগান্তকারী ভাবনা প্রশাসনের!