কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল বম্বে ল-ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। রিজিজু ও ধনখড় কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তার প্রেক্ষিতেই এবার বম্বে ল-ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল। এর আগে এই মামলায় বম্বে ল-ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন বম্বে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার আবেদন করেছিল।
কিন্তু, সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। তার প্রেক্ষিতেই এবার ল-ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন দ্বারস্থ হল সুপ্রিম কোর্টের। গত ৯ ফেব্রুয়ারি আবেদনটি খারিজ করেছিল বম্বে হাইকোর্ট। যুক্তি হিসেবে হাইকোর্ট বলেছিল, সংবিধানের ২২৬ ধারার অধীনে এটা রিট পিটিশন দাখিলের এক্তিয়ারে পড়ে না।
বম্বে ল-ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগ করেছে যে ধনখড় এবং রিজিজুর মন্তব্য সুপ্রিম কোর্ট-সহ সাংবিধানিক সংস্থাগুলোকে আক্রমণ করেছে। সংবিধানের প্রতি আস্থার অভাব প্রদর্শন করেছে। এই অভিযোগে অ্যাসোসিয়েশন ধনখড়কে উপরাষ্ট্রপতি পদে দায়িত্ব পালন থেকে এবং রিজিজুকে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার নির্দেশ চেয়েছে।
বম্বে ল-ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবী আহমেদ আবদি। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, রিজিজু ও ধনখড়ের মন্তব্য সংবিধানের জন্য অবমাননাকর। তা জনসাধারণকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে। দেশকে অরাজকতার দিকে চালিত করবে। আবদির অভিযোগ, ধনখড় ও রিজিজু তাঁদের দায়িত্ব গ্রহণের সময়ে গৃহীত শপথ লঙ্ঘন করেছেন।
আরও পড়ুন- মোদী টাকা দিয়েছে ভেবে, অ্যাকাউন্টের একলক্ষ টাকা খরচ করে শ্রীঘরে গ্রাহক
সরকার যদি সত্যিই কলেজিয়াম ইস্যুতে সিরিয়াস হত, তবে হয় সুপ্রিম কোর্টে যেত। অথবা, সংসদে এনিয়ে বিল আনত। কিন্তু তা করা হয়নি। সেকথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আইনজীবীদের সংগঠন তার আবেদনে বলেছে, 'সংবিধানে উপলব্ধ কোনও উপায় ব্যবহার না-করে, সবচেয়ে অপমানজনক এবং অবমাননাকর ভাষায় বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছে।'
কিন্তু, আইনজীবীদের সংগঠনের আবেদনের শুনানির পর বম্বে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় ভি গঙ্গাপুরওয়ালা ও বিচারপতি সন্দীপ ভি মার্নের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, 'ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা আকাশচুম্বী। কোনও ব্যক্তির বিবৃতিতে তা ক্ষয় হয় না। অথবা বাধাপ্রাপ্ত হয় না।'