দেশে ফিরেই আবেগের সুরে পাক অত্যাচারের কাহিনী শোনালেন হামিদ নেহাল আনসারি। দীর্ঘ ৬ বছর পাকিস্তানে বন্দিদশা কাটিয়ে গত মঙ্গলবারই এ দেশে ফিরেছেন মুম্বইয়ের ওই যুবক। বুধবার বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন হামিদ। একইসঙ্গে সে দেশে তাঁর উপর যেভাবে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে, সেকথাই বললেন ৩৩ বছরের ওই যুবক। পাক গোয়েন্দা সংস্থার ‘নির্যাতনে’ তাঁর বাঁ চোখে আঘাত লেগেছিল বলে এদিন সুষমাকে জানান হামিদ। সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার দেশে ফেরার পর বুধবার রাজধানীতে নিজের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে সুষমা স্বরাজের সঙ্গে দেখা করেন হামিদ। পাক বন্দিদশার স্মৃতি আওড়াতে গিয়ে হামিদ জানিয়েছেন, গ্রেফতারের পর তাঁকে নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছিল। বাবা-মাকে ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে আফশোস জানিয়ে বিদেশমন্ত্রীকে হামিদ বলেছেন, তিনি তাঁর জীবনটা নতুন করে শুরু করতে চেয়েছিলেন। বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, চাকরি খুঁজছিলেন। সুষমার সঙ্গে হামিদের সাক্ষাৎপর্ব খুবই আবেগঘন মুহূর্ত ছিল বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন, ছ’বছরের বন্দিদশা শেষে দেশে ফিরলেন হামিদ আনসারি
হামিদের সঙ্গে বিদেশমন্ত্রীর সাক্ষাৎপর্বের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে বিদেশমন্ত্রক। ওই ভিডিওতে হামিদের মাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘মেরা ভারত মহান, মেরি ম্যাডাম মহান, সব ম্যাডাম নে হি কিয়া হ্যায়।’’ দেশে ফিরে তিনি যে কতটা খুশি, তা জানিয়েছিলেন হামিদ। গত মঙ্গলবার ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে এ দেশে ফেরেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে আফগানিস্থান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢোকেন হামিদ (৩৩)। তখনই সে দেশে তাঁকে পাকড়াও করা হয়। অনলাইনে এক মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় হামিদের। তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই পাকিস্তানে যান হামিদ। ২০১৫ সালে তাঁকে তিন বছর কারাবাসের সাজা শোনায় পাক সামরিক আদালত। সে বছর ১৫ ডিসেম্বর তাঁকে পেশাওয়ার সেন্ট্রাল জেলে রাখা হয়।
Read the full story in English