২০১৬ সালে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার বুরহান ওয়ানির স্মৃতিতে ডাক টিকিট প্রকাশিত হয়েছে পাকিস্তানে। এক 'সন্ত্রাসবাদী' নেতাকে গৌরবান্বিত করার এই পদক্ষেপকে তীব্র সমালোচনা করেছে ভারত। সেই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির বক্তব্য, "কাশ্মীরে হাজার হাজার মানুষ লড়ছে, তাদের সবাই সন্ত্রাসবাদী নয়"।
ওয়াশিংটনের ভারতীয় দূতাবাসে এক বৈঠকে কুরেশি বলেন, "আলোচনায় বসতে ভারতের দিক থেকে অনীহা থাকলেও তা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে শান্তি ফেরানোর সব চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হবে। সমস্যার থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকলে সমস্যা উবে যাবে না"।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ প্রসঙ্গে শাহ মেহমুদ কুরেশির অভিযোগ, "একজন বিদেশ মন্ত্রীর পক্ষে যা বলা উচিত, উনি সেরকম কিছু বলেন না। পাকিস্তানের তরফ থেকে আমরা কূটনীতির বাইরে কিছু আলোচনা করিনা। আমরা যথেষ্ট পরিণত এবং পরিশীলিত"।
আরও পড়ুন, কংগ্রেস ও পাকিস্তানের একই লক্ষ্য, মোদীকে হঠানো- বিজেপি
ভারত পাকিস্তানের সম্পর্কের তিক্ততা কি দু' দেশের মধ্যে যুদ্ধের ইঙ্গিত দিতে পারে? এই প্রশ্ন করা হলে কুরেশির স্পষ্ট জবাব, "আমরা যুদ্ধের কথা বলছি না, ভাবছিওনা। আমরা শান্তি চাই, স্থিতিশীলতা চাই, দেশের মানুষ চাকরি চায়, জীবন যাপনের মানের উন্নতি চায়। কাদের দিক থেকে আলচনায় অনীহা, আপনারা চিহ্নিত করুন। তবে আমরা শান্তি চাইছি, এটাকে আমাদের দুর্বলতা ভাববেন না"।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার বুরহান ওয়ানি। সেই মৃত্যুকে ঘিরে উত্তাল হয়েছিল কাশ্মীর। ঘটনার ক'দিন পর টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া বুরহানের বাবার এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, "ভগত সিং যখন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়েছিল, ইংরেজদের চোখে সে ছিল সন্ত্রাসবাদী। ভারতীয়দের কাছে ভগত সিং সব সময় একজন স্বাধীনতা সংগ্রামীই থেকেছে। কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে দেশ সেদিন জানতে পারবে বুরহানও কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্যই প্রাণ দিয়েছে।"