বিমস্টেক সংগঠনের সমস্ত সদস্যরা সোমবারই আমন্ত্রিত হয়েছেন ৩০ মে’র ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ডাক পায়নি শুধু পাকিস্তান। তবে এই ঘটনাকে তেমন গুরুত্ব দিতে চাইছে না পাক প্রশাসন। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি জানিয়েছেন মোদী পাকিস্তানকে আঘাত করতেই ব্যস্ত। সাম্প্রতিক ভবিষ্যতে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর ব্যাপারেও তেমন আশাবাদী নন পাক মন্ত্রী।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার উদ্দেশে তৈরি বিমস্টেকের সদস্যদের মধ্যে ভারত ছাড়াও রয়েছে বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল এবং ভুটান। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতিভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সমস্ত সদস্য দেশের নেতারা আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
আরও পড়ুন, রাজীব কুমারের চাপ বাড়ছে , ফের নোটিস দিচ্ছে সিবিআই
মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি পাক সংবাদসংস্থা ডনকে জানিয়েছে, "মোদীর সমস্ত প্রচারের কেন্দ্রে রয়েছে পাকিস্তানকে আঘাত করা। খুব শিগগির সেই আদর্শ থেকে তিনি সরে আসবেন মনে করাটা বোকামি"। তিনি আরও বলেন, " দু'দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির জন্য শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাশ্মীর সমস্যা, সিয়াচেন সমস্যা অথবা স্যর ক্রিক নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা"।
সার্ক সংগঠনকে আলাদা করে আমন্ত্রণ না জানিয়ে বিমস্টেক সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানোর পেছনে মূল উদ্দেশ্য, পাকিস্তানকে সরিয়ে রাখা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন, ভোটে জেতায় মোদীকে অভিনন্দন-ফোন ইমরানের
২০১৪ সালে নওয়াজ শরিফকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল মোদী সরকার। কিন্তু তারপর দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় এ বছর আমন্ত্রিত হলেন না পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
১৭ তম সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হবার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গে পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, "দু'টি দেশের সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সৌজন্যের ওপর নির্ভর করে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মোদীর জয়ের পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সৌজন্য দেখিয়েছে"।
"(দু'দেশের মাঝে আলোচনা বন্ধ রাখার জন্য) নতুন নতুন রাস্তা তৈরি করে ওরা (ভারত)। মোদী যদি বিতর্কিত ওই অঞ্চলের উন্নয়ন চান, একমাত্র উপায়, পাকিস্তানের সঙ্গে বসে সমাধান সুত্র বের করা। পাকিস্তান নিজের স্বার্থেই দু দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনার আবহ কমাতে চায়। আমাদের দেশ তো এই উত্তেজনা তৈরি করেনি", বললেন কুরেশি।