Advertisment

সেনার গোপন তথ্য হাতাতে 'ভুয়ো গুরুর' ষড়যন্ত্র পাক গোয়েন্দাদের

ভারতের সামরিক গোপন তথ্য জানতে আগ্রাসী ষড়যন্ত্র পাকিস্তানের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সেনার গোপন তথ্য হাতাতে 'ভুয়ো গুরুর' ষড়যন্ত্র পাক গোয়েন্দাদের।

ভারতের সামরিক গোপন তথ্য জানতে আগ্রাসী ষড়যন্ত্র পাকিস্তানের। সেনাবাহিনীর মন জয়ে তাই ফাঁদ পেতেছে পাক গোয়েন্দারা। ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতাদের ভুয়ো পরিচয় কাজে লাগাতে চাইছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোয়েন্দা শিবির। পাক গোয়েন্দাদের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে গত অক্টোবরে এক নির্দেশেকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সতর্ক করা হয়েছে।

Advertisment

সেনার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, 'ভারতীয় সেনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের বিশ্বাস অর্জনে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতাদের ভঙ্গিতে ব্যবহার করা হবে। কৌশলে ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে চলবে এই কাজ।' ইউটিউবে আস্থা অর্জনের কাজ এগোলেই তথ্য হাতানোর কাজ চলবে হোয়াটঅ্যাপ বা স্কাইপের মাধ্যমে। জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

আরও পড়ুন: অযোধ্যা রায়: প্রধান বিচারপতির নজরে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

এই সব ভুয়ো গুরু পরিচয়ের কৌশল ছাড়াও রয়েছে হানিট্র্যাপের ফাঁদও। মহিলাদের পরিচয়ের আড়ালে ফাঁদের ফেলার বিষয়টি বেশি করা হতে পারে সিনিয়ার অফিসারদের সঙ্গে। পাক গোয়েন্দাদের কৌশল থেকে বাঁচতে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে বলে বাহিনীর সদস্যদের জানিয়েছে ভারতীয় সেনা।

আরও পড়ুন: অযোধ্যা মামলার রায়দানকে ঘিরে কেন্দ্রীয় সতর্কবার্তা, নিরাপত্তার চাদরে ঢাকছে দেশ

১৫০ পাক গোয়েন্দার নকল পরিচয় দিয়ে ফাঁদ পেতে ভারতীয় সামরিক তথ্য আহোরণের চেষ্টা করছে বলে জানতে পেরেছে সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যের তাদের তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। ফলে পাক গোয়েন্দাদের ভারতীয় সেনার সদস্য ও তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার বিষয়টি ব্যাহত হয়েছে। শুধু সতর্ক করেই কাজ শেষ করেনি সেনা। একই সঙ্গে সামরিক ও জাতীয় সুরক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য আহরণের প্রযুক্তিগত পাক কৌশলের বিষযটিও তুলে ধরা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর প্রাক্তন অফিসারদের মন জয়েও আগ্রাসী ভূমিকায় পাক গোয়েন্দা দল। অনেক ক্ষেত্রেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মহিলাদের নাম করে ভুয়ো প্রোফাইল খুলে মন জয়ের চেষ্টা চলবে। সুযোগ বুঝে সেখান থেকেই হবে তথ্য জানার চেষ্টা। সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াও তথ্য হাতাতে কাজে লাগানো হচ্ছে ভুয়ো লটারি, চেন মার্কেটিং সিস্টেম, বিভিন্ন ফোন নিশানা করে অ্যাপ্লিকেশন ফরওয়ার্ড ও ভুয়ো কল। অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারদের ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটক,, টেলিগ্রাম, স্কাইপ ব্যবহারে সতর্ক করা হয়েছে। অনেক সময়ই ভুয়ো বিমা এজেন্ট সেজে সেনা কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে আস্থা অর্জনের মাধ্যমে তথ্য হাতানোর কাজ চলতে পারে।

Read the full story in English

Indian army pakistan India
Advertisment