'আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে যাওয়াটা বিরাট ভুল ছিল'। নিউইয়র্কে বসেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে খোঁচা দিয়ে মন্তব্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। এই ভুলের জন্য দেশের পূর্ববর্তী সরকারদের দায়ী করেছেন 'কপ্তান'।
৯/১১-র জঙ্গি হামলার পরে বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। ইমরানের মতে সেই সময় থেকেই জঙ্গি দমনে নানান পদক্ষেপ করা হয়। যা আদতে পাকিস্তানের শত্রু সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করেছে বলে মনে করেন ইমরান খান। ২০০১ সালে নিউইয়র্কে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর জঙ্গি হানার পরে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। সেই ঘোষণার প্রেক্ষিতে ইমরান খান বলেন, 'যে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা যায় না, তা দেওয়া উচিত নয়।'
আরও পড়ুন: “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন”, বালাকোট প্রসঙ্গে ভারতীয় সেনা প্রধানের মন্তব্য ওড়াল পাকিস্তান
পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'গত শতাব্দীর আটের দশকে সোভিয়েত রাশিয়া আফগানিস্তানে হানা দেয়। আমেরিকার সহায়তায় পাকিস্তান তখন আফগানিস্তানে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে সাহায্য করে। সোভিয়েতের বিরুদ্ধে জেহাদ চালানোর জন্য আইএসআই বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা জেহাদিদের প্রশিক্ষণ দেয়। আমরাই সোভিয়েতের বিরুদ্ধে আফগান জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে তৈরি করেছিলাম। জেহাদিরা একসময় ছিল হিরো। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেল। আমরা আর ওইসব জেহাদি গোষ্ঠীগুলি রয়ে গিয়েছি।' তাঁর এই মন্তব্যেই কার্যত স্পষ্ট করে দিল যে, পাকিস্তান জেহাদিদের মদত দিয়েছে ও তাদের আশ্রয়দাতা।
এরপর ফের ইমরান ৯/১১-র প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তাঁর কথায়, '১৮ বছর আগে আমরা তখন ফের আমেরিকার সঙ্গে হাত মেলাই। এর আগে, যারা সোভিয়েতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, তাদের বোঝানো হয়েছিল, বিদেশি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা মানে জেহাদ। কিন্তু, আফগানিস্তানে যখন আমেরিকা হানা দিল, তখন জেহাদি গোষ্ঠীগুলিকে সন্ত্রাসবাদীর তকমা দেওয়া হল।পাক প্রধানমন্ত্রীর মতে, আফগানিস্তানে আমেরিকার আক্রমণের সময় পাকিস্তানের নিরপেক্ষ থাকা উচিত ছিল। আলোচনা ছাডা় আফগান দ্বন্দ্ব মিটবে না।
Read the full story in English