/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/11/s97RkifJkM3U4gzDPmRe.jpg)
প্রতীকী ছবি।
Pakistan Train Hijack News: পাকিস্তানের ট্রেন হাইজ্যাক ঘটনায় পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী বড় সাফল্য অর্জন করেছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী মঙ্গলবার হিংসা বিধ্বস্ত বালোচিস্তান প্রদেশে সন্দেহভাজন বালোচ জঙ্গিদের হাতে ট্রেনে পণবন্দি অন্তত ১৫৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে এবং এ সময় ১৬ জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে। অন্যান্য যাত্রীদের মুক্ত করার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বালোচ এবং পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। পাকিস্তানি নিরাপত্তা আধিকারিকরা এই তথ্য জানিয়েছেন।
আধিকারিকদের তথ্য অনুযায়ী, জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৯টি বগি নিয়ে প্রায় ৫০০-জন যাত্রী-সহ কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ার যাচ্ছিল। মঙ্গলবার সকালে গুদলার এবং পিরু কনেরি এলাকার মধ্যে ট্রেনটিতে হামলা হয়, গুলিবর্ষণ করা হয়। নিরাপত্তা আধিকারিকরা জানান, এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী ১৩ জন বালোচ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে এবং ৮০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে। তাঁরা আরও জানিয়েছেন যে উদ্ধার অভিযান এখনও চালু রয়েছে। এর আগে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) হামলার দায় স্বীকার করে দাবি করেছিল যে তারা ট্রেনটি নিজেদের দখলে নিয়ে ১০০-র বেশি যাত্রীকে বন্দি করেছে।
আরও পড়ুন পাকিস্তানে যাত্রীবোঝাই আস্ত ট্রেন অপহরণ জঙ্গিদের, সেনা অভিযান হলে বিস্ফোরণের হুমকি
উদ্ধার হওয়া পণবন্দিদের মধ্যে ১১ শিশুও ছিল
বালোচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ জানিয়েছেন, ‘‘নিরাপত্তা বাহিনী একটি বগি থেকে ৮০ জন যাত্রী - ৪৩ জন পুরুষ, ২৬ জন মহিলা এবং ১১ জন শিশুকে মুক্ত করতে সফল হয়েছে।’’ এর পরে আরও ২৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন যে, প্রায় ৪০০ জন যাত্রী এখনও ট্রেনের ভিতরে রয়েছে, যা একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে রয়েছে। রিন্দ জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন যে পেশোয়ারগামী যাত্রীবাহী ট্রেনের ‘‘মারাত্মক’’ গুলিবর্ষণের খবরের প্রেক্ষিতে উদ্ধারকারী দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, পাকিস্তান রেলওয়ে কোয়েটা রেলওয়ে স্টেশনে একটি জরুরি ডেস্ক তৈরি করেছে, কারণ উদ্বিগ্ন পরিজনরা তাঁদের প্রিয়জনদের সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য সেখানে আসছেন।
পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা
সরকারি ভাবে কোনও যাত্রীর হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে একজন সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক নিশ্চিত করেছেন যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গত বছরের অক্টোবর মাসে পাকিস্তান রেলওয়ে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে স্থগিত থাকা কোয়েটা এবং পেশোয়ারের মধ্যে রেল পরিষেবা পুনরায় চালু করার ঘোষণা করেছিল। বালোচিস্তানে গত এক বছরে উগ্রপন্থীদের আক্রমণ বেড়ে গেছে। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে কোয়েটা রেলওয়ে স্টেশনে এক আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত এবং ৬২ জন আহত হয়েছিল।