পালঘরকাণ্ডে মহারাষ্ট্র সরকারের থেকে স্টেটাস রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট। পালঘরের ঘটনার তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট দিতে শুক্রবার মহারাষ্ট্র সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। উল্লেখ্য়, গত ১৬ এপ্রিল রাতে পালঘরে দুই সাধু ও তাঁদের চালককে পিটিয়ে হত্য়া করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতে এদিন এই নির্দেশ দেয় বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্য়মে মামলার শুনানি সম্পন্ন হয়।
আবেদনপত্রে জানানো হয়েছে, লকডাউন ভেঙে এলাকায় জনতার জমায়েত হয়েছিল, এতেই পুলিশের ব্য়র্থতা স্পষ্ট। আইনজীবী রাশি বনশলের দায়ের করা পিটিশনে দাবি জানানো হয়েছে যে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে সিট গঠন করা হয় অথবা সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের নিয়ে বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: করোনার দাপট চলবে ২ বছর পর্যন্ত! বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টে অশনি সংকেত
গণপিটুনির ঘটনা রুখতে না পারার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের দাবি জানিয়েছেন আবেদনকারী শশাঙ্ক শেখর ঝাও।
উল্লেখ্য়, লকডাউনের মধ্যেই মুম্বইয়ের কান্দিভেলি থেকে ১৬ এপ্রিল গুজরাতের সুরাতে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ৩ ব্য়ক্তি। মাঝপথে গাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায় গ্রামবাসীরা। এরপর তাঁদের গণপিটুনি দিতে শুরু করে গ্রামবাসীরা। পুলিশ এসে তাঁদের গাড়ি থেকে উদ্ধার করলেও, উত্তেজিত জনতার কবল থেকে তাঁদের রক্ষা করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনায় প্রাণ হারান কে গিরি (৭০), সুশীলগিরি মহারাজ (৩০) এবং চালক নীলেশ (৩০)।
এ মামলার শুনানিতে আবেদনকারীরা অভিযোগ করেন, পুলিশও জড়িত ছিল এ ঘটনায়। সে কারণেই এ ঘটনা তাঁরা রুখতে পারেনি। পুলিশ এ ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৯ নাবালক-সহ ১০০ জনেরও বেশি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন