সোমবার বাজেট অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয় সংসদ। সিএএ, এনপিআর , শাহিনবাগ-জামিয়ার গুলিকাণ্ডকে হাতিয়ার করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় বিরোধী দলগুলো। শাসক-বিরোধী তরজার মাঝেই মুলতুবি করে দেওয়া হয় রাজ্যসভার অধিবেশন। একই পরিস্থিতি হয় লোকসভাতেও। কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্যের সময় বিরোধী শিবিরের সাংসদরা 'গোলি মারনা বনধ কারো, দেশকো তোড়না বনধ কারো (গুলি মারা বন্ধ করো-দেশ ভাঙন বন্ধ করো)' বলে স্লোগান দিতে থাকেন। হইহট্টগোলের মধ্যেই লোকসভাও সাময়িক মুলতুবি করে দেন স্পিকার। পরে ফের লোকসভার অধিবেশন চালু হলে বিজেপি সাংসদ পরভেশ ভর্মা রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদজ্ঞাপণ প্রস্তাব আনেন। ফের শুরু হয় চেঁচামিচি। লোকসভা ত্যাগ করেন বিরোধী দলের সাংসদরা।
পড়ুয়াদের উপর নির্মম অত্যাচারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলধোনা করেন হায়দরাবাদের সাংসদ তথা এআইএমআইএম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি। কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, 'দেশবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।' 'সিএএ নয়', 'আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করা হোক', 'আমাদের 'সংবিধানকে রক্ষা করা হোক' বলে এদিন দুই কক্ষেই বিরোধী সাংসদরা স্লোগান তোলেন।
আরও পড়ুন: বেনজির! সংসদে বিরাট পদক্ষেপ মমতাবাহিনীর
সিএএ, এনপিআর ঘিরে উত্তাল দেশ। নানা জায়গায় চলছে বিক্ষোভ আন্দোলন। এরই মধ্যে শাহিনবাগ ও জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানকে লক্ষ্য করে গুলিও চলে। এই পরিস্থিতিতে সিপিআইএম-য়ের নেতৃত্বে কংগ্রেস, বিএসপপি ও অন্যন্য বাম দলের তরফে সংসদের কার্যক্রম বাতিলের করার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সিএএ রদের দাবি জানায় তারা। আইইউএমএল সাংসদ পিকে কুনহালিকুট্টি লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনেন।
সিএএ ইস্যুতে প্রতিবাদের ঝাঁঝ আরও জোরালো করল তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রথমবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর সংশোধনী প্রস্তাব আনল মমতার দল। গত শুক্রবার বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর সংশোধনী প্রস্তাব আনল জোড়াফুল শিবির। রাজ্যসভায় ইতিমধ্যেই এই সংশোধনী প্রস্তাব পেশ করেছেন দলের সংসদীয় নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ও চিফ হুইপ সুখেন্দু শেখর রায়। লোকসভাতেও শীঘ্রই এই প্রস্তাব আনা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
Read the full story in English