ভারত-চিন সংঘর্ষ আবহ নিয়ে প্রথম থেকেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব ছিল বিরোধী দল কংগ্রেস। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় মোতায়েন করা সেনাদের কী পরিস্থিতি তা খতিয়ে দেখতে লেহ সফরে যেতে চায় সংসদীয় প্যানেল। কিন্তু সেই সফরেই বাঁধ সেধেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
বুধবার মন্ত্রকের তরফে যে চিঠি পাঠান হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের সঙ্গে কী অবস্থান সে বিষয়ে সাংসদের পরিদর্শন করার বিষয়ে পরামর্শ দিতে রাজি নয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক। তবে এর এক দিন আগেই মন্ত্রকের তরফে যে চিঠি পাঠানো হয়েছিল সেখানে কিন্তু এমন কোনও উদ্বেগের কথা উল্লেখ করা ছিল না।
সংসদীয় কমিটির নেতৃত্বে থাকা লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী সেপ্টেম্বর মাসে সেনাদের সঙ্গে দেখা করতে লাদাখ সফরের জন্য স্পিকার ওম বিড়লার কাছ থেকে ছাড়পত্র পেয়েছিলেন। ১২ সেপ্টেম্বর লাদাখ ইস্যুতে সংসদীয় বৈঠক হয়। নিরাপত্তাবাহিনীর রেশনের সঠিক তত্ত্বাবধান এবং রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে কি না সেই নিয়ে আলোচনাই এই বৈঠকের লক্ষ্য ছিল। সীমান্তবর্তী এলাকার উপর বিশেষ দৃষ্টিপাত কর হয় বৈঠকে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল এই বৈঠকে।
আরও পড়ুন, অমিত শাহের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে দিল্লি উড়ে গেলেন ধনকড়
এরপরই সরাসরি গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চান সংসদীয় দলের সদস্যরা। প্যানেলের তরফে প্রাথমিকভাবে ২৮ ও ২৯ অক্টোবর লাদাখ সফরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে সংসদ বিহারের বিধানসভা নির্বাচন, গুজরাট ও মধ্য প্রদেশের উপ-নির্বাচন এবং কোভিড -১৯ পরিস্থিতি উল্লেখ করে তারিখ পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। পরবর্তীতে পরিকল্পনাটি সংশোধন করে নভেম্বরের ৮ থেকে ১০ তারিখ ধার্য করা হয়।
এই সংশোধিত তফসিলটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, সেনাবাহিনী এবং লোকসভা সচিবালয়ে পাঠান হয়েছে। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সামরিক বিষয়ক দফতরের তরফে জানান হয়েছে, "উভয় পক্ষের সেনাই নিয়ন্ত্রণ রেখায় কাছাকাছি রয়েছে। পরিস্থিতি যেন শান্ত থাকে তার জন্য সমস্ত সেনা আধিকারিকরা সেই প্রস্তুতি রাখতে ব্যস্ত। তাই ভিভিআইপি জাতীয় প্রতিনিধি দলের এই সময়ে লেহ, লাদাখ পরিদর্শন করা ঠিক হবে না।" উল্লেখ্য, এই দফতরের নেতৃত্বে আছেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন