কৃষি বিল ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক উত্তাপ। 'বিলগুলিতে সম্মতি দেবেন না', বুধবার বিকেলে রাইসিনা হিলে গিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে এমন আর্জিই রাখলেন বিরোধী সাংসদরা। রাজ্য়সভায় পাস হওয়া কৃষি বিলগুলি 'অসাংবিধানিক' বলে বর্ণনা করেছে বিরোধী শিবির। অন্য়দিকে, কৃষি বিল ঘিরে বিরোধীদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আবহেই অনির্দিষ্টকালের জন্য় এদিন মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্য়সভার অধিবেশন।
এদিন সাংবাদিকদের রাজ্য়সভার বিরোধী নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, ''গণতন্ত্রের মন্দিরে সংবিধান ক্ষুন্ন করা হয়েছে। আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি যে অসাংবিধানিকভাবে কৃষি বিলগুলি পাস করা হয়েছে এবং বিলগুলি ফেরত পাঠান''। উল্লেখ্য়, বিতর্কিত বিলগুলিতে সই না করতে রাষ্ট্রপতিকে আগে চিঠি লেখে বিরোধী শিবির।
প্রসঙ্গত, রবিবার তুমুল বিরোধিতার আবহে রাজ্য়সভায় ধ্বনি ভোটে পাস করা হয় দুটি বিতর্কিত বিল। একটি হল, কৃষিপণ্য়ের লেনদেন ও বাণিজ্য় উন্নয়ন ও আরেকটি হল, কৃষিপণ্য়ের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চুক্তি সংক্রান্ত বিল। বিরোধী শিবিরের তুমুল আপত্তি, প্রতিবাদ, হই-হট্টগোলের মধ্য়েই রাজ্য়সভায় পাস হয়ে যায় বিলগুলি।
আরও পড়ুন: আলু-ডাল-পেঁয়াজ আর অত্য়াবশ্যকীয় পণ্য় নয়, নয়া বিল পাস সংসদে
বিল পাসের প্রতিবাদ ঘিরে রাজ্য়সভায় তুলকালাম কাণ্ড বাধে। এর জেরে সোমবার সাসপেন্ড করা হয় তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, কংগ্রেসের রাজীব সাতভ, সৈয়দ নাসির হুসেন, রিপুন বোরা, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং, সিপিএমের কে কে রাগেশ ও ই করিমকে। এরপরই সংসদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে রাতভর ধর্নায় বসেন তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন , দোলা সেন-সহ সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা।
জিরো আওয়ারে মঙ্গলবার রাজ্য়সভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, সাংসদদের সাসপেনশন প্রত্য়াহারের পাশাপাশি আরও ২ টি দাবি রয়েছে। এক, ন্য়ূনতম সহায়ক মূল্য়ের কমে কৃষকদের থেকে কৃষি পণ্য় কিনতে পারবে না বেসরকারি সংস্থা। দুই, স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে ন্য়ূনতম সহায়ক মূল্য় ঠিক করতে হবে।
৮ সাংসদের সাসপেনশন ইস্য়ুতে সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেন, রাজ্য়সভায় ৮ জন সাংসদের সাসপেনশন প্রত্য়াহারের বিষয়টি তখনই বিবেচনা করবে সরকার, যখন তাঁরা তাঁদের আচরণের জন্য় ক্ষমা চাইবেন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন