বাড়তে চলেছে যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়া। চলতি আর্থিক বছর শেষের আগেই রেলের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতে পারে। অপেক্ষা শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের সবুজ সঙ্কেতের। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে, পণ্যবাহী ট্রেনের ভাড়া এখনই বাড়ানোর কোনও পরিকল্পানা নেই বলে সূত্র মারফত জানতে পেরেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব বলেছেন, 'পণ্যবাহী ট্রেনের ভাড়া বর্তমানে বেশ বেশি। ফলে এক্ষেত্রে ভাড়া বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই। তবে, যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়া বাড়তে পারে।' পরে অবশ্য রেল বোর্ডের মুখপাত্র আর ডি বাজপেয়ী জানিয়েছেন, 'রেলের ভাড় সামঞ্জস্যপূর্ণ করার কথা বলা হয়েছে। এর মানে এই নয় যে শুধুই ভাড় বৃদ্ধি করে তা করা হবে। ভাড় কমানো-ও হতে পারে।' মন্দার ছায়া রেলে। সূত্রের খবর, ঘাটতি মেটাতে মাস কয়েক আগেই ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করা হয়েছিল রেলমন্ত্রকের তরফে।
আরও পড়ুন: রেল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের, ছাঁটা হল বোর্ডের বহর
এক্ষেত্রে প্রায় ১০ শতাংশ হারে ভাড়া বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। কবে থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে সেবিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। এর আগে ২০১৪ সালে ১৪.২ শতাংশ হারে যাত্রীবাহী ট্রেন ও ৬.৬ হারে পণ্যবাহী ট্রেনে শেষ ভাড়া বাড়িয়েছিল রেল। 'ডায়নামিক ফেয়ার' নীতি মেনে এর আগে রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুকে ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছিল। তবে, তিনি তা মানেন নি। বর্তমানে পিযূস গোয়েলের সিদ্ধান্তের উপর সম্পূর্ণ বিষয়টি নির্ভর করছে বলে রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, ভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রেলের অর্থনৈতিক অবস্থা বেহাল। সেই কারণেই এই ভাড়া বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা বলে রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। চলতি আর্থিক বছরের শেষে প্রায় ২০ হাজার কোটি ঘাটতি হবে রেলের। কিন্তু, সামান্য হারে যাত্রীভাড়া বাড়িয়ে তা পূরণ করা সম্ভব নয় বলেই মনে করছে মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা। গত ৬ বছরে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একাধিক নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রেল তার আয় বাড়াতে পারেনি।
Read the full story in English