Passenger jet with 64 aboard crashes after mid-air collision with military chopper near Washington: বুধবার রাতে রোনাল্ড রিগ্যান ওয়াশিংটন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় একটি যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়, তারই জেরে কাছের পোটোম্যাক নদীতে গিয়ে পড়ে যাত্রীবাহী বিমানটি। মারাত্মক এই দুর্ঘটনার জেরে বেশ কয়েকজনের জখম হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুরও আশঙ্কা বাড়ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ৯টার ঠিক আগে ঘটে যাওয়া এই সংঘর্ষের ফলে বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আমেরিকান এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, ওই যাত্রীবাহী বিমানটিতে ৬০ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু ছিলেন।
ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, ক্যানসাসের উইচিটা থেকে ছেড়ে আসা একটি আঞ্চলিক বিমানের সঙ্গে সামরিক ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে এই বিপত্তি ঘটে। উভয় বিমান বিমানবন্দরের কাছাকাছি এসে যাওয়ার সময় মাঝ আকাশে সংঘর্ষ হয়। এফএএ তাৎক্ষণিকভাবে বিমানটিতে থাকা যাত্রীর সংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি বা হতাহতের সংখ্যাও নিশ্চিত করেনি।
দুর্ঘটনাস্থলের উপর আঞ্চলিক সংস্থাগুলির বিপুল সংখ্যক হেলিকপ্টার ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে এবং বিমানবন্দরের ঠিক উত্তরে জর্জ ওয়াশিংটন পার্কওয়ের পাশের একটি স্থান থেকে উদ্ধারকারী দলগুলি নৌকায় করে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। জীবিতদের খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা গভীর রাত পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে আমেরিকান এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, "আমাদের একটি ফ্লাইট দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য কাজ করছি।" মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, “রিগ্যান বিমানবন্দরের কাছে মাঝ আকাশে দুর্ঘটনাগ্রস্ত সকলের জন্য দয়া করে প্রার্থনা করুন। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি, তবে আপাতত ভালোর আশা করা যাক।”
আরও পড়ুন- Mahakumbh Stampede:‘আমাদের চিৎকার-কান্না কেউ শোনেনি, কেবল হেঁটেই গেছে’, মহাকুম্ভে বিপর্যয়ের দুঃসহ স্মৃতির বর্ণনা স্বজনহারাদের
কেনেডি সেন্টারের কাছে একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে পোটোম্যাক নদীর উপর রাতের আকাশে আগুনের বিস্ফোরণের আগে বিমানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ দুটি আলো একত্রিত হচ্ছে। উদ্ধারকাজ চলাকালীন টেকঅফ এবং অবতরণ উভয়ই স্থগিত করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর ডিস্ট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়ার ফায়ার ডিপার্টমেন্ট এবং পুলিশ বাহিনী সহ বিভিন্ন সংস্থার জরুরি কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পোটোম্যাক নদীর তীরবর্তী এলাকায় উদ্ধারকাজ শুরু করেন। ঘটনাস্থলে অগ্নিনির্বাপক নৌকা পাঠানো হয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপ থেকে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের খুঁজে বের করার জন্য ডুবুরিদের মোতায়েন করা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে যে বহু-সংস্থার অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে।