Advertisment

Mahakumbh Stampede:‘আমাদের চিৎকার-কান্না কেউ শোনেনি, কেবল হেঁটেই গেছে’, মহাকুম্ভে বিপর্যয়ের দুঃসহ স্মৃতির বর্ণনা স্বজনহারাদের

Maha Kumbh 2025 Stampede: মহাকুম্ভে মৌনী অমাবস্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু মিছিল। ভোররাতে শাহি স্নানের সময় হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু, জখম বহু পুণ্যার্থী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kumbh mela stampede, maha kumbh stampede, prayagraj kumbh mela stampede, stampede in mahakumbh, kumbh mela stampede, kumbh mela news today, stampede at kumbh mela, kumbh latest news,মহাকুম্ভে পদপিষ্ট,মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু,মহাকুম্ভ মেলা

Mahakumbh Stampede: হাসপাতালের মর্গের বাইরে স্বজনহারারা। এক্সপ্রেস ফটো: চিত্রাল খাম্বাতি।

Mahakumbh stampede eyewitnesses recount hours of chaos, panic: মহাকুম্ভে মহাবিপর্যের দুঃসহ স্মৃতি এখনও টাটকা। বুধবার রাত ৯টার পরেও প্রয়াগরাজের মতিলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজের মর্গের বাইরে, আত্মীয়স্বজনরা তাঁদের নিখোঁজ প্রিয়জনদের খুঁজছেন, ভিড় আগের চেয়ে কমেছে। সারাদিন অনিশ্চয়তা এবং হতাশা নিয়ে স্বজন খোয়ানো উদ্বিগ্ন আত্মীয়রা শহরের হাসপাতালগুলিতে দৌড়ে বেরিয়েছেন। 

Advertisment

গতকাল দিনভর প্রয়াগরাজের রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ ছিল। শহরের গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলিতে ব্যারিকেড করা হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা সম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট খবর ছিল না। প্রশাসনের তরফে কেবলই শান্তি বজায় রাখার আহ্বান ও তার সঙ্গে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য অনুরোধের প্রচার চলেছে।

এই মহাকুম্ভের প্রতিটি বিবরণ একেবারে সরকারি দক্ষতায় প্রচার হয়েছে। বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা থেকে শুরু করে প্রতি দুই ঘন্টা অন্তর অন্তর যাঁরা ডুব দিয়েছিলেন তাঁদের সংখ্যা পর্যন্ত প্রশাসন ঘোষণা করেছে। কিন্তু মহাবিপর্যয়ের সময় মৃত এবং আহতদের প্রসঙ্গ উঠতেই প্রশাসনও যেন ঢোক গিলতে শুরু করেছে। "আমার বোন রেণু, ৩৫, নিখোঁজ। রেণু সহ আমার বোনেরা মঙ্গলবার সঙ্গমে গিয়েছিল। বাকিরা নিরাপদে আছে। আমি দু'বার অন্য হাসপাতালে (স্বরূপ রানী নেহেরু হাসপাতাল) গিয়েছিলাম এবং পুলিশকে ঘোষণা করতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে লাইনে অপেক্ষা করতে বলেছিল।" স্বজনের খোঁজ না পেয়ে এভাবেই দিনভরছটফট করেছেন অজয় কুমার যাদব। "প্রশাসন বলছে না যে তারা কত মৃতদেহ পেয়েছে। তাদের কাছে কি তথ্য নেই?" উত্তেজিত মনীশ পান্ডে জিজ্ঞাসা করলেন, যিনি তাঁর বোন বিভা মালিক ত্রিপাঠিকেও খুঁজছেন।

আরও পড়ুন- Maha Kumbh 2025 Stampede: মহাকুম্ভে ভয়াবহ বিপর্যয়, পদপিষ্টে মৃত বেড়ে ৩০, শোকপ্রকাশ মোদীর

Advertisment

মহাকুম্ভের বিস্তৃত মাঠে তখনও প্রচুর পরিমাণে ছেঁড়া স্যান্ডেল, পোশাক, ব্যাকপ্যাক, জলের বোতল, পদদলিতদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। পুলিশকর্মীরা মানববন্ধন তৈরি করে এবং লাউডস্পিকারে চিৎকার করে নির্দেশ দিয়ে কিছুটা শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করেছিলেন।

ঘটনাটি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরণের বর্ণনা পাওয়া গেছে। কিছু প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন যে "সঙ্গম নোজ"-এর দিকে যাওয়ার পথে হঠাৎ করেই ভিড় জমে ওঠে। ত্রিভুজাকার ভূমিকে সঙ্গমের স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয় অথবা যেখানে গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতীর মিলনস্থল ছিল।

কিছু প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন, যে এই ঘাটে যাওয়ার চারটি ফটকের মধ্যে তিনটিই বন্ধ ছিল। যার ফলে ভক্তরা খোলা একমাত্র ফটকের কাছে ভিড় করতে বাধ্য হন। ঘটনাস্থলে অনেক ফোনে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে ভিড়ের কারণে ব্যারিকেডের একটি অংশ খুলে যাচ্ছে, এবং অসহায় নিরাপত্তা কর্মীরা ভিড়ের একাংশকে বেরিয়ে আসতে দেখছেন।

আরও পড়ুন- Mahakumbh Stampede: ঘাটে ঘুমানোই কাল! সামনে এল মহাকুম্ভে দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তের ভিডিও, বারে বারে বারণ কানেই নেয়নি!

৬০ বছর বয়সী বেরি দেবী বলেন, “একটি ধোঁয়াশা শুরু হয়, একটি (কাঠের) ব্যারিকেড ভেঙে যায় এবং অনেক লোক মারা যায় এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। আমি প্রথমে মেলা হাসপাতালে গিয়েছিলাম, এবং তারা আমাকে মর্গে পাঠিয়েছে।” বেরি দেবীর স্বামী নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন। জয়প্রকাশ সোনি, যিনি তার ৬৫ বছর বয়সী মায়ের মৃতদেহের জন্য মর্গে অপেক্ষা করছিলেন, তিনি বলেন, "হঠাৎ ভিড়ের পরিমাণ বেড়ে যায়।" তাঁর কথায়, “রাত ১-১:৩০ নাগাদ, জনতা এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে এবং কোনও পুলিশ সদস্যের দেখা মেলেনি। লোকেরা পড়ে যেতে শুরু করে এবং অন্যরা তাদের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে থাকে।আমার বাবা এবং সন্তানরা ধাক্কা থেকে রক্ষা পায়। তবে মা বাঁচেনি। জনতা তাকে পদদলিত করেছে।”

আরও পড়ুন- Mahakumbh Stampede: মহাকুম্ভে ভয়াবহ বিপর্যয়! ১৯৫৪ থেকে ২০২৫ একাধিক পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু কয়েক'শো পূণ্যার্থীর

Mahakumbh 2025 Prayagraj Mahakumbh Stampede
Advertisment