বিদেশমন্ত্রকের সাম্প্রতিক নিয়ম অনুযায়ী ভারতের যেকোনও প্রান্ত থেকে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা এবং তা হাতে পাওয়া অনেক সহজ।
গত বছর জুনে ষষ্ঠ পাসপোর্ট সেবা দিবসে প্রকল্পটিকে চালু করেছে কেন্দ্র। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতের যেকোনও জায়গা থেকে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যাবে, নিজের পছন্দমতো রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিস (আরপিও) নির্বাচন করা যাবে এবং নিজের পছন্দসই পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র কিংবা পোস্ট অফিস পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে নিজেদের আবেদন পত্র জমা দেওয়া যাবে।
প্রয়োজনীয় নথিগুলির মধ্যে থাকতে হবে, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, আবেদনকারীদের জন্ম তারিখের প্রমাণ হিসাবে জন্ম শংসাপত্র/ স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট / ম্যাট্রিকুলেশন সার্টিফিকেট।
অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করার প্রক্রিয়া:
১: প্রথমে passportindia.gov.in সাইটে গিয়ে 'Ordinary Passport' অপশনটিকে নির্বাচন করতে হবে।
২: পেজটি খোলার পর , অনলাইন ফর্ম জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। তারপর 'Register Now' বিকল্পটিতে ক্লিক করতে হবে।
৩: ক্লিক করার পর , এটি একটি পেজ নির্দেশ করবে যেখানে আবেদনকারী সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক তথ্য পূরণ করতে হবে। তথ্য পূরণ করে রেজিস্টার করা হয়ে গেলে সেই আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে হবে।
৪: লগইন হয়ে গেলে, নতুন পাসপোর্ট লিঙ্কের জন্য আবেদন করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে এর আগে কখনই পাসপোর্ট আবেদন করা হয়নি।
৫: ফর্ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বিবরণ পূরণ করতে হবে এবং তা জমা দেওয়ার জন্য উপরে ক্লিক করতে হবে।
৬: পরবর্তীতে ক্লিক করতে হবে ‘Pay and Schedule Appointment’এ। সেটি ক্লিক করার পর, একটি পেজে নির্দেশিত করা হবে যে কোন মোডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হবে, সেটি নির্বাচন করতে। কোনও পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র / পাসপোর্ট অফিসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিংয়ের জন্য অনলাইন পেমেন্ট বাধ্যতামূলক।
৭: ‘Print Application Receipt’-এ ক্লিক করতে হবে এবং পাসপোর্ট অফিসে প্রিন্ট আউটটি নিয়ে যেতে হবে অথবা রেজিস্টার্ড নম্বরটিতে আসা এসএমএসটি দেখাতে হবে যা অ্যাপয়েন্টমেন্টের প্রমাণ হিসাবে গ্রাহ্য হবে।
৮: যাচাই প্রক্রিয়ার জন্য নিজেদের সমস্ত আসল নথি পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে যেতে হবে।
আরো পড়ুন গুগল পে এর সৌজন্যে ট্রেনের টিকিটে বাড়তি সুবিধা
অনলাইনে আবেদন পত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া:
১: হোম পেজে উপলব্ধ 'ই-ফর্ম ডাউনলোড' অপশন থেকে ই-ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে।
২: প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে এবং ‘Validate and Save’ বোতামে ক্লিক করতে হবে। তারপর একটি এক্সএমএল ফাইল তৈরি হবে যা সিস্টেমে আপলোড করা হবে।
৩: ফাইলটি জেনারেট হয়ে গেলে একইভাবে উপরের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে। ‘Upload e-form’ অপশনে থাকা এক্সএমএল ফাইল আপলোড করতে হবে এবং পেমেন্ট অপশনে গিয়ে প্রক্রিয়াটিকে যথাযথ ভাবে শেষ করতে হবে।
৪: যাচাই প্রক্রিয়ার জন্য নিজেদের সমস্ত আসল নথি পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে যেতে হবে।
Read the full story in English