'শান্তি ও স্থিতাবস্থাই চিনের সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তি হওয়া উচিত', লাদাখে সীমান্তে সংঘাতের আঁচে সোমবার এমনই মন্তব্য় করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এদিন এক্সপ্রেস ই-আড্ডায় বিদেশমন্ত্রী বলেন, ভারত ও চিনের মধ্য়ে জটিল সম্পর্ক রয়েছে এবং আমার দায়িত্ব এটাকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়া। বাস্তব ইস্য়ু হল সেনা সরানো ও সেনা কমানো।
Advertisment
উল্লেখ্য়, গত মে মাসের শুরু থেকে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে একে অপরের চোখে চোখ রেখে অবস্থান করছে দু'দেশের সেনা। সীমান্ত সংঘাত পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছোয়, যে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয় গত ১৫ জুন। সেদিনের সংঘর্ষে চিনা বাহিনীর হাতে ২০ ভারতীয় জওয়ানের মৃত্য়ু হয়। এ ঘটনায় সীমান্ত উত্তাপ আরও বাড়ে। এরপর বিভিন্ন স্তরে দু'দেশের বৈঠক চলে। কিন্তু এখনও সীমান্ত জট কাটেনি।
গত মাসের শেষে ফের সীমান্তে লাল ফৌজ অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলালে তা রুখে দেয় ভারতীয় সেনা। এ ঘটনা ঘিরে সীমান্ত সংঘাত পর্ব নয়া মোড় নেয়। সম্প্রতি সীমান্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ভারত এবং চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক চলে মস্কোতে। কিন্তু সমাধান সূত্র এখনও অধরা। উভয়পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করে।
বৈঠকে ভারতের তরফে বলা হয়েছে, “চিনের বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা, আক্রমণাত্মক আচরণ, একতরফা স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করানো উভয়দেশের বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছিল এবং দ্বিপাক্ষীয় চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।” অন্যদিকে, চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েই বলেন যে সীমান্তে “এই উত্তেজনার দায় সম্পূর্ণ ভারতের”।