ভারত ও চিনের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য সীমান্ত এলাকায় শান্তি অপরিহার্য। ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বুধবার বিদায়ী চীনা রাষ্ট্রদূত সান উইডংকে একথা জানিয়েছেন। পূর্ব লাদাখে ২৯ মাসেরও বেশি সময় ধরে সীমান্ত অচলাবস্থা জারি রয়েছে । ২০২০ সালের জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষের পরে ভারত ও চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকে।
জয়শঙ্কর এক ট্যুইট বার্তায় লিখেছেন, "ভারত-চীন সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণ উভয় দেশের, এবং বৃহত্তর বিশ্বের স্বার্থে একান্ত ভাবেই অপরিহার্য"। ভারত জোর দিয়ে বলেছে ভারতও চিনের সম্পর্কের অবশ্যই তিনটি পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তি বাঞ্ছনীয়- পারস্পরিক সংবেদনশীলতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং পারস্পরিক স্বার্থ।
মঙ্গলবার একটি ইভেন্টে তার বিদায়ী ভাষণে, সান বলেন, “যে চিন এবং ভারতের মধ্যে কিছু বিষয়ে মত পার্থক্য রয়েছে। তবে বৃহত্তর স্বার্থে সেগুলি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নিতে হবে”।
আরও পড়ুন: < ভয়ানক ‘ডার্টি বোমা’ ব্যবহার করতে পারে ইউক্রেন, রাজনাথকে ফোন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর >
ভারত বারে বারেই বলে আসছে সীমান্ত বরাবর শান্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক উন্নয়নের চাবিকাঠি। প্যাংগং হ্রদ এলাকায় একটি হিংসাত্মক সংঘর্ষের পরে, ৫ মে, ২০২০-এ পূর্ব লাদাখ সীমান্ত অচলাবস্থা শুরু হয়েছিল। উভয় দেশই সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করে ফলে দুদেশের মধ্যে এক উত্তেজনাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একের পর এক সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনার ফলে, দুপক্ষই ধীরে ধীরে সেনা সরাতে শুরু করে। কিন্তু এরপর এখনও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।