তাজমহল পরিদর্শন করতে গেলে, বাধ্যতামূলক "জুতো কভার"।মূলত ধুলো,দূষণ এবং কাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি থেকে সপ্তম শতাব্দীর এই স্মৃতিস্তম্ভকে দূরে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক সার্ভে সংস্থা (এএসআই) সুপ্রিম কোর্টে "সাইট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান" এর অংশ হিসাবে তাজমহল সংরক্ষণের জন্য আবেদন করে। যার ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
তাজমহল চত্বর সহ আগ্রায় যানবাহনে সিএনজি জ্বালানি ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মেট্রো নির্মাণের জন্য যে ক্ষতি হয়েছে সেকারণে জরিমানা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে ওই এলাকায় দূষণ প্রতিরোধের নিয়ম কঠোর করা হবে। জৈববস্তু বা পুরসভার বর্জ্য পদার্থ তাজমহল এলাকায় ফেলা বা পোড়ানোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে ‘হিন্দু বিরোধী’ পোস্ট করায় গ্রেফতার ডাক্তার
এছাড়াও এএসআই শহরের খোলা এলাকায় বিল্ডিং নির্মাণ করার প্রস্তাব করেছে। সুপ্রিম কোর্টে এএসআই যে আবেদন করেছে, তাতে তাজমহলের ক্ষতির কথাই তুলে ধরা হয়েছে পাশাপাশি পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণের অনুরোধ করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট, তাজ এর রক্ষণাবেক্ষণের পর্যবেক্ষণ করে পাল্টা বলেন কাঠামোগত রক্ষা করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ এএসআই। অভিযোগের ভিত্তিতে এএসআইকে দন্ডিত করেছে সুপ্রিমকোর্ট। তারা লক্ষ্য করেছে যে, বায়ু দূষণের কারণে তাজমহলের সাদা মার্বেল হলুদ হয়ে গিয়েছে।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কবর এবং তাজমহলের ভিতরের দেওয়াল ও সমাধি সংলগ্ন বাগান নিয়মিত পরিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে টিকিট সিস্টেম ব্যবহার করা বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মীদের মোতায়েন করা উচিত। এই মূহুর্তে পরিকল্পনাটিতে ৪৫-৫০ জন নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে,"।
আরও পড়ুন: ভয়েস কলিং দিয়ে হ্যাক হচ্ছে আপনার ফোন, এখনই আপডেট করুন হোয়াটসঅ্যাপ
বৈদ্যুতিক শ্মশান এবং ডিজেল ইঞ্জিন ব্যবহৃত ট্রেনগুলি স্থানান্তরিত করার সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। ধুলো থেকে তাজমহলকে বাঁচাতে পাঁচ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে রাস্তা পরিষ্কার রাখা ও যান্ত্রিক মেশিন মাধ্যমে সড়ক পথ ভিজিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও জল দূষণ মোকাবিলা করার জন্য নদীর ধার গুলি পরিষ্কার রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে এই প্রস্তাব ভবিষ্যতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে উপস্থাপন করা হবে।
Read the full story in English