Plane Crash In December: ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে একের পর এক বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৩৪ জন যাত্রীর। প্রশ্ন উঠেছে বিমানের নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত ত্রুটি নিয়ে। গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন যাত্রী নিহত হন। বিমানটিতে মোট ১৮১ জন যাত্রী ছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান দুর্ঘটনা
বছরের শেষের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানটি অবতরণের ঠিক আগে রানওয়েতে ১৮১ জন যাত্রী নিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। রবিবার সকালে এই দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। বিমানটি থেকে একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট এবং একজন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, জেজু এয়ারের এই বিমানটি থাইল্যান্ড থেকে ফিরছিল এবং মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময় একটি দেওয়ালে ধাক্কা মারে, সেসময়ই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনা
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪-এ, আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের Embraer ERJ-190AR বিমানটি কাজাখস্তানের আকতাউ বিমানবন্দরের কাছে অবতরণের ঠিক আগে ভেঙে পড়ে, যাতে ৩৮ জন নিহত হয়। বিমানটিতে মোট ৬৭ জন যাত্রী ছিলেন।
ব্রাজিলের বিমান দুর্ঘটনা
২২ ডিসেম্বর, দক্ষিণ ব্রাজিলের গ্রামাডো শহরে একটি চাটার্ড ফ্লাইট দুর্ঘটনার কবলে পড়লে একই পরিবারের ১০ জন সদস্যের মৃত্যু হয়। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবতরণের সময় বিমানটি একটি ভবনের চিমনিতে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় ১৭ জন আহত হন। ২২ ডিসেম্বরই পাপুয়া নিউগিনিতে বিমান দুর্ঘটনায় ৫ জন প্রাণ হারান। পরদিন এই বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয় এবং দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে।
আর্জেন্টিনার বিমান দুর্ঘটনা
১৮ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার সান ফার্নানদো বিমানবন্দরের কাছে একটি বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে, যাতে ২ পাইলটের মৃত্যু হয়। ১৭ ডিসেম্বর হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের হনুলুলু বিমানবন্দরের কাছে একটি পণ্যবাহী বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেঙে পড়ে। কী কারণে বিমানটি ভেঙে পড়ল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মনে করা হচ্ছে পাইলটদের প্রশিক্ষণ চলার সময় বিমানটি ভেঙে পড়ে। এটিসি কমিউনিকেশন অনুযায়ী, ওড়ার পরপরই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেঙে পড়ে।