শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি কেরালায়। সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পরও শবরীমালা মন্দিরে পা রাখতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন মহিলারা। সেই রেশ থাকতে থাকতেই এবার একই ইস্যু সামনে এল দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগাকে ঘিরে। ওই দরগায় মহিলাদের প্রবেশাধিকারের দাবি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল। আগামী সপ্তাহেই সম্ভবত এ মামলার শুনানি দিল্লি হাইকোর্টে। পুণের আইনের ছাত্রীরা এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের করা ওই পিটিশনে দাবি করা হয়েছে যে, দরগার বাইরে নোটিস লাগানো রয়েছে। গত ২৭ নভেম্বর ওই ছাত্রীরা দরগায় যান। সেখানে তাঁদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। দরগায় মহিলাদের প্রবেশ নিশ্চিত করতে গাইডলাইন্স করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে কেন্দ্র, দিল্লি সরকার, দিল্লি পুলিশ ও দরগা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে পিটিশনে। একইসঙ্গে এই নিষেধাজ্ঞা ‘অসাংবিধানিক’ বলে ঘোষণা করার কথা বলা হয়েছে। পিটিশনে বলা হয়েছে, ‘‘নিজামুদ্দিন দরগা একটা পাবলিক প্লেস। লিঙ্গের ভিত্তিতে কাউকে কোনও পাবলিক প্লেসে ঢুকতে না দেওয়াটা ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী।’’
আরও পড়ুন, শবরীমালা নিয়ে এবার নারী প্রাচীর কর্মসূচি বিজয়ন সরকারের
দিল্লি হাইকোর্টে পুণের আইনের ছাত্রীদের হয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী কমলেশ কুমার মিশ্র। তিনি বলেছেন যে, দিল্লি পুলিশ ও কর্তৃপক্ষের থেকে কোনও জবাব দেওয়া হয়নি পড়ুয়াদের।
উল্লেখ্য, কেরালার শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে যুগান্তকারী রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সেই সুপ্রিম রায়কে মাথায় রেখে ওই দরগায় মহিলাদের প্রবেশাধিকার না দেওয়া নিয়ে সরব করা হয়েছে পিটিশনে। পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে যে, অন্যান্য ধর্মীয় স্থান, যেমন আজমের শরিফ দরগা, হাজি আলি দরগায় মহিলাদের প্রবেশাধিকারে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।
Read the full story in English