হুব্বালি ইদগাহ মাঠে গণেশ উৎসবের অনুমতি দিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট। গভীর রাতে শুনানির সময়, হাইকোর্ট গণেশ চতুর্থী উদযাপনের অনুমতিকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদনটি খারিজ করে দেয়। হাইকোর্ট তার রায়ে আরও বলেছেন, ইদগাহের জমি নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। সেখানে গণেশ পুজোতে কোন বাঁধা নেই।
গনেশ পুজো নিয়ে হাইকোর্টের আগের রায়ই বহাল থাকল। কর্ণাটক হাইকোর্ট হুব্বালি-ধারওয়াদের ইদগাহ মাঠে গণেশ চতুর্থী উদযাপনের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে। হুব্বালি ঈদগাহ ময়াদানে গনেশ পুজো করার ক্ষেত্রে অনুমোদন দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়।
ধর্মীয় উৎসবের অনুমতি না দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়ে আদালত বলেছে, এতে কোনো বিরোধ নেই। একইসঙ্গে সরকারের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে সম্পত্তিটি বিতর্কিত, তবে এই যুক্তিও খারিজ করে দিয়েছে আদালত। যদিও এর আগে এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত উভয় পক্ষের পক্ষে 'স্থিতাবস্থা' বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। এর সঙ্গে, মামলাকারীদের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কর্ণাটক হাইকোর্টের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর গভীর রাতে হাইকোর্ট এই আদেশ দেয়।
গণেশ উৎসবের অনুমতি নিয়ে আদালতের আদেশের একই দিনে দুবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেও দুবারই হতাশ হয় মুসলিম সংগঠন আঞ্জুমান ইসলামিয়া। বেঙ্গালুরুর ইদগাহ মাঠ সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরে, আঞ্জুমানের সদস্যরা আবার গভীর রাতে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন। বেঙ্গালুরুতে বিতর্কিত ইদগাহ ময়দানে গণেশ চতুর্থী উদযাপন করা যাবে না বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। কর্ণাটক সরকার বিতর্কিত ইদগাহ ময়দানে গণেশ চতুর্থী উদযাপনের অনুমতি দেয়। সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ওয়াকফ বোর্ড সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চে বর্তমানে শুনানি চলে। এর আগে হাইকোর্ট জানায় ওই ময়দানে গণেশ চতুর্থী পালনে রাজ্য সরকারের অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
কর্ণাটক হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে কর্ণাটক সেন্ট্রাল মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন এবং কর্ণাটক ওয়াকফ বোর্ডের আপিলের শুনানি করছিল শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার, প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত গণেশ চতুর্থী উদযাপনের জন্য বেঙ্গালুরুর ইদগাহ মাঠ ব্যবহার করার হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সেন্ট্রাল মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন অফ কর্ণাটক এবং কর্ণাটক ওয়াকফ বোর্ডের আবেদনের শুনানির জন্য তিন বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করেন।
আরও পড়ুন: < আগুন সবজি বাজার! সিদ্ধিলাভে ‘ছ্যাঁকা’ আম-আদমির >
সুপ্রিম কোর্ট বেঙ্গালুরুর ইদগাহ মাঠে গণেশ চতুর্থী উদযাপনের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং সেই জায়গায় উভয় পক্ষের ‘স্থিতাবস্থা’ বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। শীর্ষ আদালত বলেছে যে গত ২০০ বছরে, ইদগাহ মাঠে গণেশ চতুর্থীর এমন কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। তিন বিচারপতির বেঞ্চ আবেদন শোনার পর গণেশ পুজোর অনুমতি বাতিল করে দেন। তবে তার পরিবর্তে যদিও নমাজ পাঠেরও অনুমতি দেয়নি কোর্ট। ওই জমিকে কোনও উৎসবের জন্যই ব্যবহার করা যাবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে আদালত। পুজোর আয়োজকরা ফের কর্নাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। রাতেই শুরু হয় শুনানি। সেই শুনানির পর তার আগের রায়ই বহাল রাখে উচ্চ আদালত।