করোনা মোকাবিলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সিটিজেন অ্যাসিস্টেন্স এবং পিএম কেয়ার্স ফান্ডে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল সিএসআর ফান্ড থেকে। কিন্তু কর্মীদের বেতন থেকে আরও ১৫৫ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে জমা দিয়েছে ১০০টিরও বেশি পিএসইউ। আরটিআই (RTI)-এর তথ্য থেকে এমনটাই জানতে পেরেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
এর মধ্যে রয়েছে ওএনজিসি (ONGC), যারা তাঁদের কর্মীদের বেতন থেকে প্রায় ২৯.০৬ কোটি টাকা দিয়েছে। ১০১টি পিএসইউ-এর মধ্যে ওনজিসি বিপুল অঙ্কের টাকা দেওয়ার তালিকায় শীর্ষে। সিএরআর ফান্ডের মধ্যে প্রথমে রয়েছে বিএসএনএল। তাদের তরফে প্রায় ১১.৪৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আরটিআই তথ্য থেকে দেখা গিয়েছে ২৪টি পিএসইউ তাদের কর্মীদের বেতন থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা কিংবা তার বেশি টাকা সরকারের ফান্ডে জমা দিয়েছে।
যদিও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় যারা এই ফান্ডের দেখভালে রয়েছে তারা সাহায্যকারীদের বিস্তারিত তথ্যর বিষয়টি নাকচ করেছেন। আরটিআই-এর উত্তরে জানান হয়েছে, "আরটিআই অ্যাক্ট সেকশন 2 (h) অনুসারে PM CARE fund কোনও পাবলিক অথরিটির নয়। এই নিয়ম অনুসারে সেই তথ্য জানা যায় না। এই ফান্ডের বিষয়ে যাবতীয় বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইট pmcares.gov.in-এ দেওয়া আছে।"
আরও পড়ুন, পিএম কেয়ার্স ‘স্ক্যাম’! তহবিলের হিসাব চেয়ে বিজেপিকে খোঁচা সোহমের
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস অতিমারির মোকাবিলায় ২০২০ সালের মার্চ মাসে মোদী সরকারের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার্স ফান্ড (PM Cares Fund)এ ৩১ মার্চ অবধি ৩ হাজার ৭৬ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে, এমনটাই জানাচ্ছে ওয়েবসাইটের অডিট রিপোর্ট। প্রথম পাঁচদিনেই এই টাকার অঙ্ক পেয়েছে পিএম কেয়ার্স ফান্ড। অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ২৫৮ হাজার ৯৬ টাকা এই ফান্ডে জমা পড়েছে। এই অ্যাকাউন্ট প্রাইম মিনিস্টারের সিটিজেন অ্যাসিস্টেন্স এন্ড রিলিফ ইন ইমারজেন্সি সিচুয়েশনের সঙ্গে যুক্ত। তবে মার্চ মাসের পরে এই অ্যাকাউন্টে কত টাকা এসেছে সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। বিরোধীদের একাধিক পিটিশনের এবং সমালোচনা এসেছে প্রধানমন্ত্রীর পিএম কেয়ারস ফান্ডের স্বচ্ছতা নিয়ে।
এসব তথ্য সামনে আসার পরেই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন। যাঁরা বিপুল পরিমাণ অর্থ দান করছেন, সেই দাতাদের নাম কেন প্রকাশ্যে আনছে না কেন্দ্র? তিনি আরও প্রশ্ন করেছেন, অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে যেখানে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের উপরে অর্থ দান করলেই দাতাদের নাম প্রকাশ্যে আনা বাধ্যতামূলক, সেখানে সরকারের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হবে না কেন?
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন