আজ প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের পঞ্চম ভিডিয়ো বৈঠকেই চূড়ান্ত হতে পারে লকডাউনের ভবিষ্যৎ। তার আগে, গতকালই রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব। সেখানে রাজ্যগুলিকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে। অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রীও এদিনের বৈঠকে অর্থনৈতিক স্বার্থে শিল্পক্ষেত্রে বিধিনিষেধ ছাড়ের পক্ষে সওয়াল করবেন বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ, এদিনের মোদী-মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে মূলত অর্থনীতির গতি ফেরানোই অন্যতম বিষয় হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
'অধিকাংশ রাজ্য পর্যায়ক্রমিকভাবে লকডাউন শিথিলের পক্ষে মত দিয়েছে। তবে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির জন্য শিল্পক্ষেত্রে বিধিনিষেধের শিথিলতার পক্ষে রাজ্যগুলো। তবে যেকোনও সিদ্ধান্তই পর্যোলোচনার ভিত্তিতে যৌথভাবে নেওয়া হবে' বলে জানিয়েছেন কোভিড-১৯ রেসপন্স টিমের এক প্রতিনিধি। তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনের প্রথম সপ্তাহে কোথায় ঘাটতি তা রাজ্যগুলোর অনেকটাই বোধগম্য হয়েছে। ঘাটতি পূরণে এবার সক্রিয় হতে হবে রাজ্য প্রশাসনকেই। এমনটাই মনে করে কেন্দ্র।
প্রথম দফার লকডাউন শেষের পর থেকেই সরকার ধীরে ধীরে অর্থনীতির ঝাঁপ খুলতে সক্রিয়। ৩ মে দ্বিতীয় দফার লকডাউন শেষে সেই পরিধি বাড়াতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে কাজকর্ম শুরু করার ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র। সরকারি আধিকারিকের মতে, 'অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে শিল্পক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কাজ সেবাবে শুরু হয়নি। পণ্যের সরবরাহ ও শ্রমিকের অভাবে হয়তো তা শুরু করা যায়নি। কিন্তু, বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। শিল্পক্ষেত্র ও সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে উৎপাদনের কাজ মসৃণ করতে হবে।' তৃতীয় দফার লকডাউন শেষে আরও বেশ কিছু ক্ষেত্র খুলে দিতে হবে বলেই সরকারি কর্তারা মনে করছেন।
আরও পড়ুন- লকডাউনের মধ্যেই ১২ মে থেকে চালু হচ্ছে যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা
দেশজুড়ে সংক্রমণের হার মে মাসে ঊর্ধবগামী। তবে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ৮ মে থেকে ২১৬ জেলায় নতুন করে সংক্রমণ ছড়ায়নি। গত ২৮ দিনে ৪২ জেলা থেকে করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর নেই। ২১ দিন ধরে ২৯ জেলা ও গত ১৪ দিনে ৩৬ জেলায় সংক্রমণের হদিশ মেলেনি। গত সাত দিনে ৩৬ জেলাও সংক্রমণের আওতার বাইরে। ক্রম পরিবর্তনশীল এই পরিসংখ্যানই এখন আশার ক্ষীণ আলো বলে মনে করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
তিন পর্যায়ের পর কি লকডাউন সম্পূর্ণ শিথিল হবে? কেন্দ্র এ বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। একাধিক রাজ্য পরিযায়ীদের রাজ্যে ফেরত পাঠানোর বিরুদ্ধে কথা বলেছে। পরিযায়ীদের মাধ্যমেই ভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে কোয়ারেন্টিন বিধি কড়া হাতে লাগুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন