প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। তিনি ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে চলমান সংকট নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনাও করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী মোদী রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান সংকট সমাধানের জন্য, আলাপ-আলোচনা এবং কূটনীতির প্রয়োজনীয়তার কথা আরও একবার তুলে ধরেন। একই সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদী যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পরমাণু নিরাপত্তা নিয়ে তিনি তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী জেলেনস্কিকে বলেন, “ভারত দুই দেশের মধ্যে শান্তি ফেরাতে বিশেষভাবে আগ্রহী। পাশাপাশি ভারত শান্তি আলোচনায় অবদান রাখতে প্রস্তুত। এর সঙ্গেই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক নানান বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। PMO অনুসারে, ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সাথে কথা বলার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে শান্তি বজায় রাখার জন্য যে কোনও ধরণের প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে ভারত পুরোপুরি প্রস্তুত”।
কথোপকথনের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “যুদ্ধ থেকে কোনও সমাধান আসে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করতে হবে"। PMO তথ্য অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী মোদী আবারও রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আলোচনা এবং কূটনীতির পথ অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: < সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান, সারা দেশে ১০৫ টি স্থানে সিবিআইয়ের বিশেষ তল্লাশি >
উল্লেখ্য মার্চ মাসের শুরুতে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। এরপর প্রায় ৩৫ মিনিট ফোনে দুই নেতার মধ্যে কথা হয়। দুই নেতাই ইউক্রেনের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সরাসরি আলোচনার প্রশংসাও করেন। একই সময়ে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ইউক্রেন থেকে ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ইউক্রেন সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কিকে ধন্যবাদ জানান।
তাৎপর্য পূর্ণভাবে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সাত মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে কোন শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি। রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ শুরু করে। এরপর ২৬শে ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এরপর রাষ্ট্র সংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয় ভারত। যার কারণে জেলেনস্কি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের উচিত ইউক্রেনকে সমর্থন করা। তবে ভারত এ ব্যাপারে কোন পক্ষকে সমর্থন করা থেকে বিরত থাকে।